এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে পোস্টার পড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ প্রকাশ চন্দ্র মণ্ডলের নামে। শুক্রবার সকালে নজরে আসে বারুইপুর, সাউথ গড়িয়া, গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন জায়গায় ভরে গিয়েছে পোস্টারে। দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাদক্ষ প্রকাশ চন্দ্র মণ্ডলের নামে পড়ল দুর্নীতির পোস্টার। সেখানে অভিযোগ আনা হয়েছে, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ প্রকাশ চন্দ্র মণ্ডল তার কন্যা সহ ১৯ জনকে অর্থের বিনিময়ে চাকরি দিয়েছেন। এমনকী পোস্টারে তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের দাবি তোলা হয়েছে। এমন পোস্টারে নড়েচড়ে বসেন বঙ্গ রাজনীতিবিদরা। ব্যাপক জল্পনা শুরু হয় এলাকাতেও। উল্লেখ্য, সাদা পাতায় এ-ফোর পেপারে কালো কালিতে ছাপানো হয়েছে পোস্টারটি। কিন্তু পোস্টারটিতে কারও নামের উল্লেখ করা নেই।
যদিও এইসব অভিযোগ অস্বীকার করেন শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ প্রকাশ চন্দ্র মণ্ডল। তিনি জানান, তাঁর বিরুদ্ধে ইচ্ছে করে কুৎসা রটানো হচ্ছে। এই কুৎসার পিছনে তিনি বিরোধী দল বিজেপির হাত দেখছেন। একইসঙ্গে তাঁর সন্দেহের রাডারে রয়েছে তারই দলের একাংশ। আগামী পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট না পাওয়ার আশঙ্কাতেই তৃণমূলেরই এক যুব নেতা তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে বলেও জানান তিনি। পাশপাশি তাঁর অভিযোগ, তাঁর মেয়ে চাকরি পেয়েছে তার নিজের যোগ্যতায়। আর বাকি যে ১৯ জনের কথা বলা হচ্ছে, তাদের কাউকেই তিনি চেনেনও না।
এদিকে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ থেকে সরকারি পদে কর্মী নিয়োগ একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ আসছে সামনে। প্রতিদিনই রাজ্যের একের পর এক শাসক দলের ছোট থেকে বড় নেতাদের নামে উঠছে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ। বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার দিয়ে চলছে এই অভিযোগ সামনে আনার ছবি। আর এটাই যেন এখন ট্রেন্ড হয়েও দাঁঢ়িয়েছে। সম্প্রতি সাদা খাতা জমা গিয়ে গ্রুপ ডি পদে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতার ভাই উত্তম চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে।সেই চাকরি থেকে বরখাস্তের দাবি জানিয়ে এলাকায় পোস্টার দেয় বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। আর তাতেই রয়েছে বাঁকুড়া পূর্ব লোকাল ডিওয়াইএফআই কমিটির নাম।