চিনে করোনা আতঙ্কে এবার অবসাদে আত্মহত্যা করছেন বর্ষীয়ান নাগরিকরা। উল্লেখ্য, জনতার চাপে গত ৭ ডিসেম্বরে জিরো কোভিড নীতি প্রত্যাহার করে চিন সরকার। এইসঙ্গে গোটা দেশে কোভিড বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। বিদেশি পর্যটকদের জন্য বাধ্যতামূলক নিভৃতবাসের নিয়মও তুলে নেওয়া হয়েছে। যদিও অন্যদিকে হুড়মুড় করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। অথচ বহু ক্ষেত্রেই আক্রান্তরা টেস্ট পর্যন্ত করাতে চাইছেন না বলে জানা যাচ্ছে। সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা গ্রামাঞ্চলে। সেখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রবল অভাব। ফলে জুটছে না ন্যূনতম চিকিৎসাও।
জানা যাচ্ছে, অনেকে হাসপাতালেও যাচ্ছেন না। ভয়ংকর অসুস্থতা নিয়ে বাড়িতেই নিজেরে বন্দি করে রাখছেন। পাশাপাশি বহু বৃদ্ধ-বৃদ্ধা অবসাদের কবলে পড়ে আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছেন। সব মিলিয়ে যত সময় যাচ্ছে, ততই চিনের ছবিটা আরও বেশি ভয়ংকর হয়ে উঠছে। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই বয়স্ক। শহরে তাঁদের যথাযথ চিকিৎসার আশায় হাসপাতালে নিয়ে আসছেন পরিবারের সদস্যরা। তার জেরেই হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়ছে কোভিড রোগীদের ভিড়। কাজের চাপ বাড়ছে হাসপাতালের কর্মীদের উপরে। তবে কোভিড সংক্রান্ত সঠিক তথ্য প্রকাশ করছে না চিনের প্রশাসন, এমনটাই অভিযোগ উঠছে।
এদিকে হু-এর নয়া রিপোর্টে দাবি, বিশেষত কোভিডে মৃত্যুর যে সংখ্যা একদলীয় চিনের কমিউনিস্ট শাসকেরা জানিয়েছেন, তা অস্বাভাবিক রকমের কম।