অঞ্জলি কাণ্ডে নয়া মোড়, জিজ্ঞাসবাদ করা হল বন্ধু নবীনকেও

দিল্লির কাঞ্ঝওয়ালা দুর্ঘটনা কাণ্ডে সামনে আসছে একের পর এক নয়া তথ্য। আর এই তথ্যের জেরেই নয়া মোড় নিচ্ছে অঞ্জলির মৃত্যুর ঘটনায়। শুক্রবার এই ঘটনায় নিহত তরুণী অঞ্জলির বন্ধু নবীনকে জিজ্ঞাবাদ করে দিল্লি পুলিশ। সূত্রে খবর, শুক্রবার সুলতানপুরী থানায় যান ওই যুবক। এরই মধ্যে সামনে এসেছে নতুন একটি সিসিটিভি ফুটেজ। যাতে দেখা যাচ্ছে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধের ওই ফুটেজে স্কুটারে নিধি এবং অঞ্জলির সঙ্গে এক যুবককেও। এই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা গেছে, শনিবার সন্ধে সাতটা বেজে সাত মিনিটের ওই ভিডিয়োতে স্কুটিতে অঞ্জলি, নিধির সঙ্গে আরেক যুবককে দেখা যাচ্ছে। সেই স্কুটি চালাচ্ছিল। তার পিছিনে প্রথমে অঞ্জলি এবং পরে নিধি বসেছিলেন। স্কুটার থামানোর পর নিধি অঞ্জলির হাতে কিছু জিনিস দিয়ে গলির ভিতরে চলে যায়। অঞ্জলি দাঁড়িয়ে থেকে ওই যুবকের সঙ্গে কথা বলতে থাকে। একটু পড়ে সেও গলিতে ঢুকে যায়। মিনিট নিতেক পর দুই বন্ধুই গলি থেকে বেরিয়ে এসে স্কুটি চেপে এলাকা ছাড়েন। এবার অঞ্জলিই স্কুটি চালাচ্ছিলেন। সূত্রে খবর, অঞ্জলির বাড়ির কাছের ঘটনাই এই সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে। তবে এই সিসিটিভি ফুটেজের সত্যতা বা কতটা নির্ভরযোগ্য সে ব্য়াপারে নিশ্চিত ভাবে বলতে পারছে না ‘একদিন’।

এদিকে ওই যুবকই নবীন কিনা তা নিয়েও নিশ্চিত ভাবে বলতে পারেননি কেউই। তবে নতুন এই সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসার পর ফের একবার নতুন করে প্রশ্ন উঠছে নিহতের বন্ধু নিধির ভূমিকায়। দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (আউটার) হরেন্দ্র কুমার সিং জানান, নিধিকে তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য ডেকে পাঠিয়েছে পুলিশ।

এদিকে প্রশ্ন উঠেছে, সন্ধের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা এই যুবক কে তা নিয়েও। সে কি অঞ্জলি-নিধির বন্ধু কিনা তা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন রয়েছে কারণ, একই স্কুটিতে এই তিনজনকেই একসঙ্গে দেখা গেছে। পাশাপাশি এ প্রশ্নও উঠেছে, দুর্ঘটনার রাতেই বা কোথায় ছিল ওই যুবক তা নিয়েও। দুর্ঘটনার দু’ দিন পর সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরেই দুর্ঘটনার রাতে নিহত তরুণীর সঙ্গে বন্ধু নিধির থাকার বিষয়টি সামনে আসে। তবে নিজে থেকে পুলিশে যাওয়ার কোনও উদ্যোগ দেখায়নি নিধি। এবার সামনে আরও এক যুবকের ছবি।

এখানেই শেষ নয়, কাঞ্ঝাওয়ালা দুর্ঘটনা কাণ্ডে সামনে এসেছে আরও নানা নয়া তথ্য। এতদিন জানা যাচ্ছিল দুর্ঘটনার রাতে গাড়ি চালাচ্ছিল ধৃত দীপক খান্না। সেই মতো পুলিশকে বয়ানও দেস সে। এদিকে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে ঘটনার রাতে দীপকের তুতো ভাই অমিত গাড়ি চালাচ্ছিল। দীপক ঘটনাস্থলেই ছিল না। কেন বারবার বয়ান বদল করছে ধৃতরা বা দুর্ঘটনার নেপথ্যে আরও বড় ষড়যন্ত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে দিল্লি পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 3 =