কলকাতায় মরশুমের শীতলতম দিন উপভোগ করলেন তিলোত্তমাবাসী। শুক্রবার কলকাতায় সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার এই তাপমাত্রা ছিল ১২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, গত পাঁচ বছরে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড। পাঁচ বছরে এই প্রথম ১০ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছাল। এর আগে কলকাতার সর্বনিম্ন তা ২০১৮ সালে নেমেছিল ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গত দশ বছরে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরর ঘরে তাপমাত্রা ঢুকলো কলকাতার। শুক্রবার কলকাতায় ছিল মূলত পরিষ্কার আকাশ। আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২১.৯ ডিগ্রি। সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৫৮ থেকে ৯১ শতাংশ।
আর শীতের এই স্পেল চলবে আরও সাতদিন। শনিবার পর্যন্ত কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হবে জেলায় জেলায়। পশ্চিমের জেলাগুলিতে কোথাও কোথাও শৈত্য প্রবাহের মতন পরিস্থিতিতৈরি হবে। এর পাশারপাশি উত্তরবঙ্গের দু এক জেলায় ঘন কুয়াশা হতে পারে। বাকি জেলায় সকালে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়বে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। তবে বেলা বাড়তে পরিষ্কা হবে আকাশ। এদিকে অবাধে উত্তুরে হওয়া বইছে। ফলে এরপর একটানা জমিয়ে শীতের স্পেল চলবে ৬ থেকে ৭ দিন, এমনাটই খবর কলকাতা আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে।
পাশাপাসি আবহাওয়া দপ্তর এও জানাচ্ছে, নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আসছে । ৭ জানুয়ারি ও ১০ জানুয়ারি দু’টি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা প্রবেশ করূবে উত্তর-পশ্চিম ভারতে. এমনটাই অনুমান আবহাওয়া দপ্তরের। এর প্রভাবে শনিবার থেকে সোমবারের মধ্যে বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে। এদিকে অপর একটি অক্ষরেখা রঅবস্থান করছে মধ্যপ্রদেশ থেকে মধ্য মহারাষ্ট্র পর্যন্ত।
এদিকে শৈত্য প্রবাহ জারি রয়েছে জম্মু ডিভিশন, পঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশে। শৈত্য প্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে চণ্ডীগড়, দিল্লি, এবং উত্তর প্রদেশের কিছু অংশে। রাজস্থানের কোথাও কোথাও চরম শৈত্য প্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। এছাড়াও গ্রাউন্ড ফ্রস্ট হতে পারে রাজস্থানের বেশ কিছু এলাকায় বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।