চাকরি প্রার্থী সত্যতা প্রমাণের জন্য বাড়ি থেকে ডায়েরি আনার নির্দেশ এবার কলকাতা হাই কোর্টের। কারণ, চাকরি বাতিল হওয়া ২৬৯ জন প্রার্থীর মধ্যে এক চাকরিপ্রার্থীর দাবি করেছিলেন, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে মামলাকারী আইনজীবী তাকে ফোন করে বলে, পর্ষদ এর অফিসে যেতে।আর এই ঘটনাতেই বিচারপতির পালটা তোপের মুখে পড়েন ওই চাকরিপ্রার্থী। তাঁকে বাড়ি থেকে ডায়েরি আনার নির্দেশ আদালতের।
কারণ, আদালতে নিজের স্বপক্ষে ওই চাকরিপ্রার্থী দাবি করেন ২০১৭ সালে ডিসেম্বরের নির্দিষ্ট দিনে ফোন আসে।ফোনে বলা হয় পর্ষদের অফিসে যেতে।আর চাকরি প্রার্থীর মুখে এমন দিন-সময় ধরে ঘটনা জানানোয় একটু বিস্মিত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। এরই রেশ ধরে তাঁর প্রশ্ন, ‘আপনার এতো ডেট মনে আছে কি করে?’ তার উত্তরেবাতিল হয়ে যাওযা ওই চাকরিপ্রার্থী জবাব দেন, ‘আমার ডায়েরি আসলে ডায়েরি লেখার অভ্যাস আছে।’ এরপরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সেই ডায়েরি আনতে নির্দেশ দেন। শুধু তাই নয়, ডায়েরি লেখার অভ্যেসের প্রমাণস্বরূপ তার আগের ও পরের বছরের ডায়েরিও আনতে নির্দেশ দেন তিনি। চাকরি বাতিল হওয়া প্রার্থী নিজের ডায়েরি বৃহস্পতিবার দুপুর ৩ টের মধ্যে জমা দিলে তার পরেই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানানয় কলকাতা হাই কোর্ট। অন্যদিকে, হলফনামা পরীক্ষা করে আরও ৫৯ জনের শিক্ষকের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।একইভাবে চাকরি বাতিলের সঙ্গে সঙ্গে আদালতের নির্দেশে বন্ধ বেতনও। ফলে এই নিয়ে মোট ২৫৫ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল হল আদালতে।