মোমিনপুর থেকে উদ্ধার বিপুল টাকা উদ্ধার করল এনআইএ

একটা সময় বলা হত বিস্ফোরকের ওপর বসে রয়েছে কলকাতা। সেটা কতটা সত্যি তা বলা কঠিন তবে এটা ঠিক যে কলকাতার মানুষ বসে রয়েছে টাকার পাহাড়ের ওপর। অন্তত এমনটাই মনে হচ্ছে গত কয়েক মাসে কলকাতা থেকে যে পরিমাণ টাকা উদ্ধার হচ্ছে সেই ছবি সামনে আশার পর। এরই মাঝে মোমিনপুরেও মিলল বিরাট অঙ্কের টাকা। এনআইএ সূত্রে খবর, বুধবার সকালে মোমিনপুরে্ এক গোষ্ঠী  সংঘর্ষের তদন্তে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএকে। মূলত এনআইএ-র আধিকারিকেরা এদিন সকালে ভূকৈলাশ রোডের একাধিক বাড়ি-সহ মোট ১৭ জায়গায় তল্লাশি চালান। তাঁদের এই তল্লাশি অভিযানে সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। তবে এই তল্লাশি চালাতে গিয়ে প্রথমেই বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁদের। বেশ কয়েক জায়গায় স্থানীয়রা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের বাধা দেওয়ার সঙ্গে তদন্তকারীদের গাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। আর এই বাধা আসে মূলত ময়ূরভঞ্জ রোড এবং ভূকৈলাস রোডে। ফলে  বেশ কিছুক্ষণ আটকে থাকতে হয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। এরপর এই সব বাধা উপেক্ষা করেই শেষপর্যন্ত মোমিনপুর এবং বন্দর এলাকার মোট ১৭ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় এনআইএ। সূত্রের খবর, ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর টাকা উদ্ধার করেছে এনআইএ। শুধু ভূকৈলাস রোডের তিনটি বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে ৩৩ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে শুধু মহম্মদ সালাউদ্দিন সিদ্দিকি নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় নগদ ৩০ লক্ষের বেশি টাকা। জাকির হোসেন এবং টিপু নামের দুই ব্যক্তির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে দেড় লক্ষ টাকার বেশি নগদ। তবে এরা তিনজনই পলাতক বলে জানান এনআইএ আধিকারিকেরা।

প্রসঙ্গত,  লক্ষ্মীপুজোর দিন অশান্ত হয়ে ওঠে কলকাতার মোমিনপুর। ময়ূরভঞ্জ রোডে দুই গোষ্ঠীর অশান্তির জেরে প্রবল ইটবৃষ্টি হয়। পরের দিন দুপুরে ফের উত্তেজনা ছড়ায় ওয়াটগঞ্জ ও একবালপুর থানা এলাকায়। একবালপুর থানা ঘেরাও করে উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয় পুলিশকে। সেদিনের ঘটনায় কলকাতা পুলিশেরউচ্চপদস্থ আধিকারিক-সহ বেশ কয়েকজন আহতও হন। এখানেই শেষ নয়, এই ঘটনায় রাজনীতির রংও লাগে। হাই কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলা দায়ের হলে অশান্তি দমনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ভর্ৎসনা করেন বিচারপতিরা। রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কলকাতা পুলিশের কমিশনারের নেতৃত্বে সিট গঠনের নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। পরে হাই কোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার যায় এনআইএ-র হাতে। আর তারই তদন্তে নেমে বিরাট অঙ্কের টাকার হদিশ পেলেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine + one =