গোরু পাচার মামলায় বুধবার অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আর্জি খারিজ করলেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার শুনানিতে যেভাবে শিবঠাকুর মণ্ডলের মামলার প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল, তখনই আইনজীবীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির জামিনের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে এই মামলা। এরপর বুধবার আদালতের তরফ থেকে জানানো হয়, তদন্তের এই পর্যায়ে গোরু পাচারে মূল অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে জামিন দেওয়া সম্ভব নয়।এরপরই অনুব্রতর জামিনের আবেদন খারিজ করে ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত সূত্রে খবর, মঙ্গলবারের শুনানিতে আদালতের পর্যবেক্ষণ, অনুব্রত মণ্ডল অত্যন্ত প্রভাবশালী। আর এখনও অনুব্রত শক্তিশালী রাজনৈতিক পদেই রয়েছেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাঁর প্রভাব বীরভূমে এখনও একই আছে। আর তাতেই সাক্ষীরা প্রভাবিত হতে পারেন। পাশাপাশি আদালতের এও পর্যবেক্ষণ, এনামুল ও সাতীশ কুমার এর সঙ্গে তুলনা চলে না অনুব্রতর।ওদের কারও অনুব্রত মণ্ডলের মতো প্রভাব নেই জনমানসে। ফলে তদন্তের স্বার্থে এখনই অনুব্রতকে জামিন দেওয়া সম্ভব নয়। তবে এর পাশাপাশি মঙ্গলবারের শুনানিতে দুবরাজপুরের মামলায় রাজ্য পুলিশের ভূমিকার প্রবল সমালোচনা করেন বিচারপতি বাগচি। যদিও একইসঙ্গে সিবিআই-কেও তিনি প্রশ্ন করেন শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণেই কি জামিনের বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর।
প্রসঙ্গত, ১৪৬ দিন ধরে জেলেই রয়েছেন বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল।তবে যেভাবে মঙ্গলবারের গতকালের শুনানিতে বারবার দুবরাজপুরে মামলার প্রসঙ্গে উঠে এসেছিল তাতেই অনুব্রত মণ্ডলের জামিন নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।এদিন জামিন খারিজের পর্যবেক্ষণে আদালত জানায় অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে পেশ হওয়া নথিতে দেখা যাচ্ছে তিনি একজন রাজনৈতিক হেভিওয়েট।প্রশাসনেও তাঁর প্রভাব রয়েছে।সাক্ষীদের প্রভাবিত করেছেন তিনি সে প্রমাণও দেখা হয়েছে।তদন্তের এমন পর্যায়ে এরকম প্রভাবশালীকে জামিন দিলে তা তদন্ত প্রভাব ফেলতে পারে। এই মর্মে গোরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।