বন্দে ভারতের নিরাপত্তায় বিশেষ পদক্ষেপ জিআরপির

বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের নিরাপত্তা বাড়াতে এবার বিশেষ পদক্ষেপ জিআরপির। বানানো হল হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ। উদ্বোধনের তিনদিনের মধ্যেই দু’বার হামলার মুখে সুপারফাস্ট ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেস। আর এই ঘটনায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্নও। আবার যাত্রী নিরাপত্তায় জোর দিতে নয়া পদক্ষেপ রেল পুলিশের। এবার ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেস ও তাঁর যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য বিশেষ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ বানাল জিআরপি। হাওড়া-নিউজলপাইগুড়ি  বন্দে ভারত এক্সপ্রেস প্রতিটি স্টেশন পার করলে সেই স্টেশনের জিআরপি এর আইসি, ওসি ও অফিসাররা ট্রেন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ওই হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপেই পেয়ে যাবেন বলে জানানো হচ্ছে জিআরপির তরফ থেকে। এছাড়াও এবার থেকে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে হাওড়া পর্যন্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে আরপিএফ জওযানদের সঙ্গে থাকবেন জিআরপির কর্মী এবং আধিকারিকেরাও। বুধবার শিলিগুড়িতে এমনটাই জানান উত্তরবঙ্গের জিআরপির সুপারিন্টেন্ডেন্ট সেলভামুউরগান।

একইসঙ্গে সেলভামুউরগান এও জানান, ‘মালদা ও এনজেপিতে দু’টি আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।তার তদন্ত চালাচ্ছি।আরপিএফও তদন্ত করছে। আমরা তাদের সাহায্য করব।‘ এরই পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জিআরপির সুপারিন্টেডেন্ট এও জানান, ‘নজরদারির জন্য আলাদা করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রপ তৈরি করা হয়েছে। জিআরপির জন্য এই গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে।স্থানীয় পুলিশের সাহায্যও নেওয়া হচ্ছে।‘ সঙ্গে তিনি এ আশ্বাসও দেন এই ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি হবে না।তবে কেন এই হামলা, তা একন বুঝে ওঠা যায়নি বেলই জানান সেলভামুউরগান। দুষ্কৃতীরা গ্রেপ্তারের পর জেরা হলেই হামলার আসল কারণ জানা যাবে বলেও জানান তিনি। তবে এ জন্য মানুষের মধ্যে সচেতনতা আনা জরুরি বলেও মনে  করেন রেল পুলিশের এই আধিকারিক। উদ্বোধনের পর থেকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে একের পর এক হামলার ঘটনা চলছে। প্রসঙ্গত, সোমবার মালদার কুমারগঞ্জ স্টেশনে আক্রমণের মুখে পড়ে এই সেমি বুলেট ট্রেন। অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিরা বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করে। পাথরের আঘাতে ট্রেনের কাচ ভেঙে যায়। এই ঘটনায় ‘বন্দে ভারত’-এর ভিতরে থাকা যাত্রীরা এই ঘটনায় আতঙ্কতি হয়ে পড়েন। এপর মঙ্গলবার ফের হামলার মুখে পড়ে ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রসে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে ঢোকার মুখে ইট ছোড়া হয় এই সুপারফাস্ট ট্রেনকে লক্ষ্য করে। ইটের আঘাতে ভাঙে ট্রেনের জানলার কাঁচ।

এই ঘটনায় পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানান, ‘নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। পাশাপাশি মানুষেকেও বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মানুষ না বুঝলে হামলা আটকানো যাবে না। সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি হলে মানুষেরই তো ক্ষতি। আমরা ট্রেনের নিরাপত্তা বাড়িয়েছি। পাশাপাশি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমেও নজরদারি চলছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen + 8 =