বুধবার আমতার চন্দ্রপুর ফাঁড়ির চাখানা এলাকার নয়ানজুলি থেকে এক টোটো চালকের মৃতদেহ উদ্ধার হল হাওড়ায়। সূত্রে খবর মৃত টোটো চালকের নাম শেখ আব্দুল রহিম। বছর পঞ্চাশের আব্দুল রহিমের খোঁজ মিলছিল না মঙ্গলবার সকাল থেকেই। এরপর বুধবার আব্দুলের দেহ উদ্ধার হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। শেখ আব্দুল রহিমকে হত্যা করে নয়ানজুলিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি মৃতের পরিবারের সদস্যদের। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এর পাশাপাশি পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মৃত্যুর কারণ নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। এমনকি ওই ব্যক্তির টোটো এবং তাঁর কাছে থাকা বেশ কিছু সামগ্রী উধাও বলেও অভিযোগ জানান হয় পরিবারের তরফে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত টোটো চালকের নাম শেখ আব্দুল রহিমের বাড়ি জগৎবল্লভপুর থানার হাবালা এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রহিম এক মাস আগে একটা নতুন টোটো কেনে। মঙ্গলবার সকাল ৬ টা নাগাদ রহিম টোটো নিয়ে ষ্ট্যান্ডে আসে। এরপর কয়েকজন ব্যাক্তি আমতায় যাওয়ার জন্য রহিমের টোটো ভাড়া করে। এরপর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় রহিম। দুপুরে রহিম বাড়িতে খেতে না আসলে পরিবারের লোকজন খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করে। এমনকি তাঁকে ফোন করলেও তাঁর মোবাইল সুইচ অফ পাওয়া যায়। রাতেও পরিবারের লোকজন রহিমকে খোঁজাখুঁজি করলেও তাঁর কোন খোঁজ মেলেনি। এরপর বুধবার সকালে নয়ানজুলি থেকে শেখ আব্দুল রহিমের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রহিমের মৃতদেহ উদ্ধার হলেও তাঁর সঙ্গে থাকা টোটো এবং অন্যান্য জিনিস খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকি রহিমের দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে একাধিক। তাঁদের অভিযোগ রহিমকে খুন করে টোটো ছিনতাই করে পালিয়ে গেছে দুষ্কৃতীরা।