শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-২০তে থ্রিলার ম্যাচ জিতে নতুন বছরের সূচনাটা দারুণ হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দলের। হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বে মঙ্গলবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ২ রানে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে ভারত। সেই ম্যাচেই রেকর্ড ভাঙা গড়ায় সামিল হলেন জম্মু ও কাশ্মীরের পেসার উমরান মালিক। গতবছরের আইপিএল থেকে উত্থান গতির রাজা উমরানের। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ভয় ধরালেও জাতীয় দলে সুবিধে করতে পারছিলেন না উমরান। টিম ইন্ডিয়ার জার্সি গায়ে নতুন বছর নিজেকে মেলে ধরাই যেন লক্ষ্য ডানহাতি কাশ্মীরি পেসারের। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার জসপ্রীত বুমরার রেকর্ড ভেঙে ফেললেন উমরান। বুম বুমকে হটিয়ে বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে দ্রুতগতির বোলার তিনি।
মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কাকে থমকে দিয়েছিলেন শিবম মাভি। অভিষেক ম্যাচেই ২২ রান দিয়ে চার উইকেট তুলে নেন। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে নিজের সেরা দিনে মাভি পাশে পেয়েছিলেন পেস সেনসেশন উমরান মালিককে। আরও একবার আগুনে গতিতে ক্রিকেট অনুরাগীদের বাকরুদ্ধ করে দেন তিনি।
চার ওভারের কোটায় ২৭ রান দিয়ে দুটি উইকেট তুলেছেন উমরান। নিজের স্পেলে ১৫৫ কিমি প্রতি ঘণ্টায় বল করেছেন। উমরানের আগুনে গতির ওই ডেলিভারি প্যাভিলিয়নে ফেরায় লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শনাকাকে। ২৭ বলে ৪৫ রান করে একস্ট্রা কভারে যুজবেন্দ্র চাহালের হাতে ধরা পড়েন শনাকা। মঙ্গলবারের ম্যাচের আগে পর্যন্ত ভারতীয়দের মধ্যে দ্রুততম ডেলিভারির রেকর্ড ছিল জসপ্রীত বুমরার ঝুলিতে। ১৫৩.৩৬ কিমি প্রতি ঘণ্টায় বল করার রেকর্ড গড়েন বুমরা। তিনিই এখন দ্বিতীয় স্থানে। বুমরার পরে রয়েছেন মহম্মদ সামি (১৫৩.৩ কিমি প্রতি ঘণ্টা) এবং নভদীপ সাইনি (১৫২.৮৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা)।
সাধারণ ক্রিকেট ফ্যান থেকে বিশেষজ্ঞরা উমরানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। টুইটারে ইরফান পাঠান লিখলেন, “উমরান মালিক শুধুমাত্র আগুন ঝরাচ্ছেন না, বলের লাইন এবং লেন্থেও উন্নতি করেছেন।” আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের টুইট, ১৫৫- উমরানকে ভালোলাগার এটাই কারণ। জাতীয় দলের জার্সিতে জম্মু এক্সপ্রেসের দ্রুততম ডেলিভারি। জয়ের পর ভারতীয় দলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে রবিন উথাপ্পা লেখেন, “শিবম মাভির স্মরণীয় অভিষেক। উমরান বরাবরের মতোই জ্বলন্ত।”