সহপাঠীর মৃত্যুতে বিক্ষোভ অব্যাহত আলিয়ার পডুয়াদের

নিউটাউনের দুর্ঘটনা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। আর সেই  কারণেই অব্যাহত তাঁদের বিক্ষোভ।রবিবারের পর সোমবার ফের রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলনে নামেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। এদিন সকালে প্রথমে ক্যাম্পাসে মিছিল করেন তাঁরা।পরে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে রাস্তা আটকে শুরু হয় বিক্ষোভ। খুব স্বাভাবিক ভাবেই এর জেরে কিছুটা ব্যাহত হয় যান চলাচল।এদিকে দুর্ঘটনার পর একদিন কেটে গেলেও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা না হলে অবরোধ চলবে বলে হুঁশিয়ারিও দ্ওয়া হয়েছে আলিয়ার পডুয়াদের তরফ থেকে। পাশাপাশি তাঁদের আরও অভিযোগ, এই এলাকায় প্রায়ই বেপরোয়া গতিতে বাইক ও গাড়ি চালানো হয়।রাতের দিকে নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে প্রায়ই চলে বাইকের রেস।এদিকে দুর্ঘটনা এড়াতে পুলিশ-প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, নতুন বছরের প্রথম দিনেই বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারান শাকিল আহমেদ। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা শাকিল এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূগোলের স্নাতক স্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন।সূত্রে খবর, রবিবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন শাকিল।ওই সময়ই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে ইকোস্পেসের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেটের থেকে কিছুটা দূরে একটি বেপরোয়া গাড়ি তাঁকে ধাক্কা মেরে চম্পট দেয়।গাড়ির ধাক্কায় মূল রাস্তা থেকে সার্ভিস রোডে ছিটকে পড়েন শাকিল।পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘাতক গাড়িটি কদমপুকুর মোড়ের দিক থেকে এসেছিল বলেও দাবি করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।অন্যদিকে এই ঘটনায় ‘হিট অ্যান্ড রান’  মামলা রুজু করে তদন্তে নামে টেকনো সিটি থানার পুলিশ। ঘাতক গাড়ির খোঁজে এলাকার সিসিটিভি-র  ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

শুধু নিউটাউন-ই নয়, বর্ষবরণের রাত থেকে শুরু করে রবিবার বিকেল পর্যন্ত কলকাতার একাধিক জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটে। শনিবার রাতে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় আহত হন এক ট্র্যাফিক কনস্টেবল। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দিন চায়না টাউনের কাছে নাকা চেকিংয়ের ডিউটিতে ছিলেন তিনি। নাকা চেকিংয়ের জন্যেই একটি গাড়িকে আটকাতে যান তিনি। কিন্তু গাড়ির চালক সেই বাধা মানেননি। ট্র্যাফিক কনস্টেবলকে ধাক্কা মেরেই এগিয়ে যায় গাড়িতে। এতেই গুরুতর জখম হন ওই পুলিশ কর্মী। বর্তমানে হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।

এদিকে কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, বর্ষবরণের রাতে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ট্রাফিক আইন ভাঙার অভিযোগে ৫৪০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদের মধ্যে মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ১৭৯ জনকে। এছাড়াও বেপরোয়া গতির জন্য জরিমানা গুণতে হয় ১৮৭ জনকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 2 =