ভারত এবং বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীদের এখন একটাই চাহিদা। সুস্থ হয়ে উঠুন ঋষভ পন্থ। তার জন্য দরকার হয় যত সময় লাগে লাগুক। ক্রিকেটের চেয়ে তার সুস্থ হয়ে ওঠা বেশি জরুরি। সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছেন ঋষভ পন্থ। চিকিৎসকরা আশ্বস্ত করেছেন, তিনি এখন বিপন্মুক্ত। তবে তারই মধ্যে দানা বেঁধেছে তারকা ক্রিকেটারের ভবিষ্যৎ ঘিরে উদ্বেগের মেঘ।
কবে তিনি মাঠে ফিরতে পারবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আসন্ন চার টেস্টের সিরিজে তো নয়ই, পরবর্তী আইপিএলেও তাঁর পক্ষে খেলা সম্ভব নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। অনেকের ধারণা, অন্তত মাস ছয়েক মাঠের বাইরে থাকতে হবে জাতীয় দলের কিপারকে। তাঁর অনুপস্থিতিতে গ্লাভস হাতে দায়িত্ব বাড়বে ঈশান কিশান ও সঞ্জু স্যামসনের। শুক্রবার ভোরে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় জখম হন পন্থ। বেশ কয়েক জায়গায় গুরুতর আঘাত লাগে। এই মুহূর্তে দেরাদুনের ম্যাক্স হাসপাতালে রয়েছেন পন্থ। শনিবারও তাঁকে আইসিইউ’তে রাখা হয়েছে। পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়েছে তাঁর চিকিৎসার জন্য। ইতিমধ্যে কপালে মাইনর প্লাস্টিক সার্জারি হয়েছে পন্থের। মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডের সিটি স্ক্যানের রিপোর্টে অবশ্য অস্বাভাবিক কিছু মেলেনি।
কিন্তু তাঁর ডান পায়ের লিগামেন্টের চোট নিয়েই আসল ভয়। এমআরআই স্ক্যানের পর পরিষ্কার ছবি পাওয়া যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কব্জি এবং পায়ের গোড়ালিতেও চোট পেয়েছেন ২৫ বছর বয়সি তারকা। ভবিষ্যতে কিপিংয়ের ক্ষেত্রে যা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কিত ভক্তরা। ক্রিকেটে ফিরতে কত দিন সময় লাগতে পারে? হৃষিকেশের এইমস-এর ডাক্তার কামার আজমের মতে, ‘লিগামেন্টের চোট সারিয়ে উঠতে তিন থেকে ছয় মাস সময় লাগতে পারে পন্থের। মেয়াদটা আরও দীর্ঘও হতে পারে। অবশ্য সুস্থ হয়ে ফেরার পর দক্ষতার শীর্ষে তিনি পৌঁছতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে থাকছে সংশয়। পন্থ অবশ্য মোটামুটি সুস্থ হলে মাসখানেক পর বিসিসিআই নিজের বিশেষ মেডিকেল টিম দিয়ে তার চেকআপ করাতে পারে। চোটের ধরণ দেখে দেওয়া হতে পারে সুস্থ হয়ে ওঠার কিছু ব্যায়াম।