শুক্রবার সকাল ভোরের আলো ফোটার আগেই মাতৃহারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।খবর পেয়েই দ্রুত গুজরাতে যান প্রধানমন্ত্রী। তবে মাকে হারিয়েও কর্তব্যে অবিচল। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর বাংলা সফর বাতিল হলেও বন্ধ করা হয়নি তাঁর পূর্বঘোষিত কর্মসূচি। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফ থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়, ভিডও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ঘোষিত প্রকল্পগুলি উদ্বোধন করবেন নমো। শুক্রবার ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’, জোকা মেট্রোসহ একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধনের কর্মসূচি ছিল প্রধানমন্ত্রীর।এরপরই বেলা ১১টা ৪০ নাগাদ আহমেদাবাদ থেকে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রার।আহমেদাবাদ থেকেই ভার্চুয়ালি এই ট্রেনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন সবুজ পতাকা দেখিয়ে ট্রেন হাওড়া-এনজিপি ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের বন্দে ভারত এক্সপ্রেস বাংলায় চালু করার জন্য নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদও দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দেযোপাধ্যায়। এদিনের অনুষ্ঠানে হাওড়া স্টেশনের ২২ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে ছাড়ে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।এই ট্রেন চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পূর্ব ভারতের রেল মানচিত্রে একটি বড় মাইলফলক স্থাপিত হল।কারণ, এর আগে সারা দেশে মোট ৬টি ‘বন্দে ভারত’ চালু হলেও কলকাতা তথা পূর্ব ভারতের জন্য এটিই প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, শুক্রবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য বিশেষ মঞ্চ স্থাপন করা হয় ২৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে।
এদিনকার অনুষ্ঠানে মঞ্চে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার বৈষ্ণব।ছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও হাজির ছিলেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। তবে তিনি এদিন মঞ্চে ওঠেননি। এদিনও মমতা বন্দোপাধ্যায়কে দেখে বিজেপি সমর্থকেরা ‘জয় শ্রীরাম’ বলে ধ্বনি দেন। আর তাতে ক্ষুব্ধ হতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।
এদিকে রেলের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পাশাপাশি চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় গঙ্গা পরিষদের বৈঠকের কথাও ছিল।ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন জাতীয় গঙ্গা পরিষদের বৈঠকেও। যে রাজ্যগুলির উপর দিয়ে গঙ্গা নদী গিয়েছে তার মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে এই বৈঠকে উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের সামিল হওয়ার কথা।