শুক্রবার কলকাতায় পা রাখতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী আসার ঠিক আগে বড় সাফল্য কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের। মঙ্গলবার কেএলসি থানা এলাকায় সোনারপুর-বামনঘাটা হাইওয়ে থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। ধৃতদের নাম শেখ ফিরোজ এবং শেখ রমজান। অভিযুক্তরা দুইজনই বীরভূমের দুবরাজপুরের বাসিন্দা।এসটিএফ সূত্রে খবর, তাদের কাছ থেকে মিলেছে ৪০ কেজি আর্সেনিক সালফাইড। কমলা রঙের এই রাসায়নিক যা আর্সেনিক সালফাইড নামে পরিচিত তা বিস্ফোরক পদার্থ হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। পাশাাপাশি এসটিএফ সূত্রে এও জানানো হয়েছে, ধৃত দুই ব্যক্তিকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
এই ঘটনায় এসটিএফের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গোপন সূত্র মারফত স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকদের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল।সেই মতো তাঁরা প্রস্তুতও ছিলেন। আরএ ই সূত্র ধরেই মঙ্গলবার ওই দুই ব্যক্তিকে পাকড়াও করা হয় সোনারপুর-বামনঘাটা হাইওয়ে থেকে। এসটিএফ সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, ওই দুই ব্যক্তি মোটর সাইকেলে চেপে যাচ্ছিল।সেই সময় তাদের থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। এরপর মোটরসাইকেলে তল্লাশি চালাতেই ৪০ কেজি আর্সেনিক সালফাইড পাওয়া যায়। উদ্ধার হওয়া ওই বিস্ফোরক পদার্থ বাজেয়াপ্ত করেছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
এসটিএফের তরফ থেকে এই আর্সেনিক সালফাইড সম্পর্কে এও জানানো হয় যে, আইইডি বা বোমা তৈরি করতে এটি খুব প্রচলিত একটি উপকরণ।এর আগে বিহারের ঘোরাসানে রেল লাইনে বিস্ফোরণে ব্যবহার করা আইইডিতেওএই আর্সেনিক সালফাইড-ই ব্যবহার করা হয়েছিল।এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক পদার্থ কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেই বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। তবে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছেন কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকরা।পাশাপাশি এও খতিয়ে দেখা হচ্ছে, গ্রেপ্তার হওয়া দুই জনের পুরনো কোনও অপরাধের ইতিহাস রয়েছে কি না সেই দিকগুলিও।