আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুসারে বুধবার রাজ্য জুড়ে দেখা গেল কুয়াশার আধিক্য। উত্তরবঙ্গে ও দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ছিল হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা। বিক্ষিপ্তভাবে কোথাও ঘন কুয়াশায় দৃশ্যমানতা ছিল অনেকটাই কম। এদিকে কলকাতায় বুধবারও তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস উপরে। কুয়াশার সঙ্গে সকালে আকাশ ছিল আংশিক মেঘলা। পরে ধীরে ধীরে তা পরিষ্কার হয়। তবে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, বুধবার বিকেল থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। সন্ধ্যে থেকে কমবে দখিনা বাতাসের প্রভাব। বাড়বে উত্তুরে বাতাসের দাপট। বৃহস্পতিবার থেকে মেঘ কেটে পরিষ্কার আকাশের সম্ভাবনা। ফিরবে শীতের আমেজ। এরপর আগামী তিন দিনে পাঁচ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা নামতে পারে। বুধবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার তাপমাত্রা ছিল ২০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কলকাতায় ছিল ২৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৫৬ থেকে ৯৩ শতাংশ। ,
তবে বুধবার থেকেই হাওয়া বদল হবে রাজ্যে। সন্ধ্যের পর বাড়বে উত্তুরে হাওয়া। বৃহস্পতিবার থেকে শনিবারের মধ্যে কলকাতার তাপমাত্রা দ্রুত নিচের দিকে নামবে। তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা। ফলে বর্ষ শেষে আবার ফিরবে শীতের স্পেল। কলকাতার তাপমাত্রা নামতে পারে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের। তবে বর্ষ শেষ ও বর্ষবরণেও কলকাতায় জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
এদিকে নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার উত্তর-পশ্চিম ভারতে আসছে। এর প্রভাবে আগামী দু’দিন তাপমাত্রা বাড়বে উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলিতে তারপর থেকে তাপমাত্রা কমবে। বর্ষ শেষ ও বর্ষ শুরুতে বৃষ্টি তুষারপাতের সম্ভাবনা উত্তর-পশ্চিম ভারতের হিমালয় সংলগ্ন পার্বত্য এলাকার রাজ্যগুলিতে। তুষারপাতের প্রবল সম্ভাবনা জম্মু-কাশ্মীর লাদাক কাশ্মীর ভ্যালি হিমাচল প্রদেশ উত্তরাখন্ড সহ পশ্চিমী হিমালয়ের পার্বত্য এলাকায়। এদিকে আগামী কয়েক দিন বৃষ্টি তুষারপাতের সম্ভাবনা উত্তর-পূর্ব ভারতের অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরাতে। অরুণাচল প্রদেশে বছরের শুরুতে তুষারপাতের সম্ভাবনার কথাও জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর। এদিকে ঘন কুয়াশার দাপট থাকবে পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, ড় দিল্লি এবং উত্তর প্রদেশে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় শীতল দিনের পরিস্থিতি থাকবে উত্তরপ্রদেশে। চরম শৈত্য প্রবাহের সর্তকতা থাকছে রাজস্থানে। আগামী ২৪ বা ৪৮ ঘন্টা পর থেকে শৈত্য প্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হবে পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি সহ উত্তর-পশ্চিমের সমতলের রাজ্যগুলিতে।