মঙ্গলবার দল ছাড়লেন বীরভূম জেলা পরিষদের সদস্য ও বীরভূম জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি বিপ্লব ওঝা। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ নেতা বলেই পরিচিত এই নেতা। দলে সম্মান ও গুরুত্ব না পাওয়ার অভিযোগের কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি। তাঁর এমন অভিযোগে স্বভাবতই অস্বস্তিতে দল। একইসঙ্গে তৃণমূলে গুরুত্ব না পেয়ে অনুব্রত মণ্ডলের ডেপুটি বিপ্লবের বিজেপিতে যোগদানের জল্পনাও যে ছড়ায়নি তাও নয়। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিতে বিপ্লব বলে জল্পনা বীরভূমের লালভূমে। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসেন বিপ্লব ওঝা। ২০১৩ সালে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি।
দলের সহ সভাপতির এই পদত্যাগে প্রশ্ন উঠে গেল, বীরভূমের দাপুটে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জেল বন্দি হতেই তৃণমূলে ভাঙন ধরেছে কি না তানিয়ে। প্রশ্ন উঠেছে পঞ্চায়েতের আগে এমন ঘটনা ইঙ্গিত দিচ্ছে কী না যে জেলায় আলগা হচ্ছে তৃণমূলের রাশ তা নিয়েও।
এদিকে বীরভূমের মাটিতে পা রাখার কথা শুভেন্দু অধিকারীর। বীরভূমের রীজনীতিতে এ জল্পনাও শুরু হয়েছে যে তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে নলহাটিতে বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন বিপ্লব ওঝা ? যদিও পদত্যাগের পর অন্য কোনও দলে যোগদানের জল্পনা উড়িয়ে দেন বিপ্লববাবু। এখন বিজেপিতে যোগদানের কোন সিদ্ধান্ত নেননি তবে ভবিষ্যৎ ভবিষ্যতের কথা বলবে। তবে দলের বিরুদ্ধে এনেছেন একগুচ্ছ অভিযোগ।
দলত্যাগী বিপ্লব ওঝা জানান, ‘গত একবছর ধরে কোনও মিটিং মিছিলে ডাকা হয়নি। এমনকী কোনও বৈঠক বা কর্মসূচিতেও ডাকার প্রয়োজন মনে করেনি কেউ। বিগত এক বছর ধরে দেখছি, আমার সম্পর্কে অন্য মনোভাব পোষণ করছে তৃণমূল। দলে হয়তো আমাকে দরকার নেই। আমাকে বাদ রেখেই সব হচ্ছে। দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেছি। দলে সম্মান না পেয়ে, দলে গুরুত্ব না পেয়েই এই সিদ্ধান্ত।’