গত কয়েক বছরে এত উষ্ণতম ডিসেম্বর দেখা যায়নি। স্বাভাবিকের ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। মঙ্গলবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এর আগে ২০০৪ সালে ২১ শে ডিসেম্বর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও এবারের ডিসেম্বরে অনেকটাই বেশি। ২০১৩ সালে ২৪ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল ২৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আলিপুর আবহাওযা দপ্তর সূত্রে খবর, রাজ্যজুড়েই ঊর্ধ্বমুখী পারদ। তবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায়। রাজ্য জুড়ে মঙ্গলবারেও ছিল কুয়াশার দাপট। বিশেষত উত্তরবঙ্গে ছিল ঘন কুয়াশার দাপট। এদিকে দক্ষিণবঙ্গেও ছিল হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা।
মঙ্গলবার কলকাতায় সকালে ছিল কুয়াশা। সঙ্গে আংশিক মেঘলা আকাশ। তবে বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছে আবাহওয়া দপ্তর। এদিন সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল ৫৬ থেকে ৯৬ শতাংশ। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে এও জানানো হয়েছে, বুধবার পর্যন্ত একই রকম আবহাওয়া থাকবে। বুধবার সন্ধ্যায় হাওয়া বদল। বাড়বে উত্তুরে হাওয়ার দাপট। তারই জেরে বৃহস্পতিবার থেকে নামবে পারদ। শনিবারের মধ্যে কলকাতার তাপমাত্রা ফের ৫ ডিগ্রি বা তার চেয়ে বেশি নিচের দিকে নামবে পারদ। বর্ষ শেষে আবারও আসবে শীতের ছোট্ট একটা স্পেল। এই সময় কলকাতার তাপমাত্রা নামতে পারে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে, এমনটাই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের।
এদিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা দার্জিলিঙ ও কালিম্পংয়ে। যদিও তা বিক্ষিপ্তভাবে এবং হালকা বৃষ্টি হবে বলেই জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর। রাজ্যের বাকি কোথাও বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। কলকাতার মতো রাজ্য জুড়ে আগামী ২৪ ঘন্টা এরকমই থাকবে তাপমাত্রা। শীতের আমেজ কার্যত উধাও। তবে উত্তরবঙ্গে ঘন কুয়াশা এবং দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে সকালে ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে আবহাওয়া দপ্তর থেকে। এদিকে নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আসছে বর্ষ শেষে। ২৯ শে ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আসবে উত্তর-পশ্চিম ভারতে।