জঙ্গলে খাবারের সংকট দেখা দেওয়ায় গ্রামে ঢুকে পর পর কয়েকটি বাড়ি ভেঙে ধান, চাল, আটা, গম সাবাড় করল হাতির দল। সোমবার ভোরে মেদিনীপুর সদর ও শালবনী ব্লকের কয়েকটি গ্রামে হানা দিয়ে চারটি মাটির বাড়ি ভেঙে এই তাণ্ডব চালানো হয়েছে। বাড়ি ভেঙে টেনে বের করা হয়েছে ধান, চাল, গম ও আটার বস্তা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তছনছ করেছে আলুর খেত। এদিন ভোরবেলা মেদিনীপুর সদর ব্লকের হেতাসোল গ্রামে খাবারের খোঁজে হানা দেয় দলছুট একটি হাতি। সেখানে ডমন মাহাতোর বাড়ির দেওয়াল ভেঙে ধানের বস্তা টেনে বের করে করে খেতে শুরু করে। গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে হাতিটি পাশের খড়িকাশুলি গ্রামে প্রবেশ করে একটি বাড়ি ভেঙে ধানের বস্তা টেনে বার করার চেষ্টা করে। এরপর ডুমুর কোটা গ্রামের হরেন মাহাতোর বাড়ির দরজা ভেঙে ধান, চাল খায় এবং আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। সকালে গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে হাতিটি খড়িকাশুলির জঙ্গলে চলে যায়। এদিন ভোরে শালবনীর মৌপাল গ্রামে চারটি হাতি প্রবেশ করে। ওই গ্রামের স্বপন মান্ডির বাড়ির দরজা ভেঙে ছটি ধানের বস্তা টেনে বের করে সাবাড় করে হাতির দলটি। এরপর ওই গ্রামেরই বাসিন্দা বিকাশ মুর্মুর আলুর জমিতে নেমে সমস্ত আলু গাছ খেয়ে ফেলে। গ্রামবাসীরা বনদপ্তরের কাছে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি এলাকার নিরাপত্তার স্বার্থে হাতিগুলিকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। গ্রামবাসীদের আবেদন মতো বনদপ্তরের আধিকারিকেরা ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করার কাজ শুরু করেছে বলে জানা গেছে।অন্যদিকে, রবিবার রাতে ঝাড়গ্রাম ব্লকের সাঁওতালডিহা ও ছোট শিরশি গ্রামে তাণ্ডব চালিয়েছে কয়েকটি হাতি। রাত একটা নাগাদ গ্রাম দুটির আদিবাসী পাড়ায় প্রবেশ করে দুটি ঘর ভেঙে কয়েক বস্তা ধান খেয়েছে হাতির দল। ধান খাওয়ার পর খামারে গাদা করা ধানের খড় লন্ডভন্ড করে দেয়। সোমবার সকালে বনদপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন।