মহেশ্বর চক্রবর্তী
আর দু’দিন পরেই বড়দিন। প্রভু যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন। সারা বিশ্বজুড়ে গির্জাগুলি সেজে উঠেছে। পাশাপাশি সারা বিশ্বের পাশাপাশি সঙ্গে সঙ্গে বাঙালি সমাজেও প্রভু যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন পালিত হয় এবং রীতি মেনে কেক কাটাও হয়। তাই কেক কারখানায় এখন অন্য ছবি। শহরের বেকারি কারখানাগুলোতে চলছে বড়দিন উপলক্ষে জোরকদমে কেক তৈরির কাজ। কেক তৈরি করতে ব্যস্ত বেকারি শ্রমিকরা। বড়দিনের আগে শেষ পর্যায়ে চলছে জোর কদমে কেক তৈরির কাজ। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন আর বড়দিন মানেই নতুন নতুন কেক দেখা যায় বাজারে। ক্রিসমাসের স্বাদ মানেই নানারকমের কেক। প্রতি বছরে ডিসেম্বরের শেষের দিকে কেকের চাহিদা অনেকটাই বৃদ্ধি পায়, এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু এবছর আর কম দামে কেকের আশা করা উচিত হচ্ছে না বলেই মনে করছেন অনেক বেকারি মালিক। অন্যন্যা বছরগুলির তুলনায় এবছর কেকের দাম অনেকটাই বেশি থাকবে বাজারে বলে জানা যায়। কেননা বর্তমান সময়ে কেক তৈরি করতে যে সব কাঁচামালের দরকার হয়, সেই চিনি, ঘি, ময়দা সহ অন্যান্য কাঁচা মালের দাম দিনের পর দিন বেড়েই যাচ্ছে, পাশাপাশি দাম বেশি আটারও। গত বছরের তুলনায় এবছর হুগলির আরামবাগের বেকারিগুলিতে কেকের অর্ডারের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। বিভিন্ন বেকারিতে চলছে সেই কেক তৈরির কাজ। আরামবাগের বাসুদেবপুর মোড় সংলগ্ন এলাকায় একটি বেকারিতে কেক তৈরির ব্যস্ততার ছবি দেখা গেল। এবছর বড়দিনে কেকের চাহিদা এত বেশি, যে তার যোগান দেওয়া যাচ্ছে না বলেও বেকারি সূত্রে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে আরামবাগের এক বেকারি মালিক শেখ আশরাফ আলি জানান, এখন যা ব্যবসার পরিস্থিতি এবং বাজারে যা কাঁচামালের দাম বেড়েছে ব্যবসা করা খুবই কঠিন। বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে কেক তৈরির। এক পাউন্ড কেকের দাম পড়বে কমপক্ষে ১০০ টাকা। এর থেকেও বেশি দামি হবে, কিন্তু মানুষ কিনতে পারবে না। এবছর ভালো অর্ডার আছে, যোগান দেওয়া যাচ্ছে না। কাঁচামালের দাম অস্বাভাবিক। সবমিলিয়ে বড়দিনের আগে বেকারিগুলিতে চলছে কেক তৈরির কাজ।