বরানগরে আচমকা বাড়ি ভেঙে মৃত্যু হল এক মহিলার। মৃতার নাম সুমিত্রা মাইতি। মঙ্গলবার রাত পৌনে দশটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বরানগর পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের টি এন চট্টোপাধ্যায় রোডে।ঘটনায় অন্তর্ঘাতের অভিযোগ এনেছেন মৃতা সুমিত্রাদেবীর মেয়ে। পাশাপাশি এও জানান, এই বাড়ি প্রোমোটারকে দেওয়া নিয়ে কাকার সঙ্গে গন্ডগোল চলছিল। বাড়ি ছাড়তে ক্রমাগত চাপ দেওয়া হচ্ছিল এবং সুমিত্রাদেবীকে মারধরও করাও হয়।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর,মঙ্গলবার রাত পৌনে দশটা নাগাদ বরানগরে এক বাড়িতে বিকট শব্দে ঘটে এই বিস্ফোরণ। যার জেরে একতলা বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় বছর পঞ্চাশের সুমিত্রাদেবীর। বিস্ফোরণের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে আশেপাশের বাড়ির জানলার কাচও ভেঙে যায়। প্রায় এক কিলোমিটার দূর থেকে বিস্ফোরণের তীব্রতা অনুভূত হয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। আর এই বিস্ফোরণের জেরে বাড়ির ছাদ ভেঙে ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েন বাড়ির একমাত্র বাসিন্দা সুমিত্রা মাইতি। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় আসে বরানগর থানার পুলিশ। পৌঁছয় দমকল বাহিনী। সুমিত্রাদেবী ধ্বংসস্তূপের নীচে এমন ভাবে চাপা পড়েছিলেন যে দেহ উদ্ধার করতেই প্রায় তিন ঘণ্টা সময় চলে যায়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করতে পাঠিয়েছে পুলিস। সূত্রে খবর, বুধবার ঘটনাস্থলে যেতে পারে ফরেন্সিক দল।তবে এই বিস্ফোরণের জেরেসুমিত্রাদেবীর বাড়ি কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
এদিকে এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের জেরেই এই দুর্ঘটনা। কারণ, ঘটনাস্থলে আগুনের কোনও চিহ্ন ছিল না। বরং গ্যাসের কটূ গন্ধও প্রতিবেশীদের নাকে এসেছে বলেও দাবি করেন এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে অনেকেই। স্থানীয় কয়েকজনের আরও দাবি, ঘটনার কিছুক্ষণ আগে সুমিত্রাদেবী বাজার করে এনে রান্না বসিয়েছিলেন। এদিকে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে এই বিস্ফোরণ কি না, তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ এবং দমকল আধিকারিকেরা।