লালন মামলায় সিবিআইকে নোটস পাঠাল সিআইডি

শেখ মৃত্যুর ঘটনায় এবার সিআইডি-র নোটিস সিবিআইকে। এই নোটিসেই  কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিককে তলব করা হল রাজ্য গোয়েন্দা দফতরের তরফ থেকে। সূত্রে খবর, রবিবারই লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআইকে এই চিঠি পাঠায় সিবিআই। জানতে চাওয়া হল, হেফাজতে থাকাকালীন কীভাবে লালনের মৃত্যু হল। লালন শেখের মৃত্যু কী ভাবে হল, সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা কী ছিল, তা নিয়েই জানতে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে সিআইডি।

লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় এর আগেও রামপুরহাটে অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পে গিয়েছিলেন রাজ্য সিআইডি-র আইজি সুনীল কুমার চৌধুরী।কারণ, এই ক্যাম্পের ভিতরেই লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন সিআইডি আধিকারিক। এরপরই কেন্দ্রীয় গোয়োন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়।কারণ, লালন শেখকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁর স্ত্রী।এই অভিযুক্তের তালিকায় যাঁরা রয়েছেন তাঁরা সকলেই সিবিআই আধিকারিকরা। বাদ যাননি ডিআইজি, এসপি, এমনকী গোরুপাচারকাণ্ডের তদন্তকারীর অফিসার।এরপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই।লালন মামলায় সিবিআইকে ‘রক্ষাকবচ’ও দেয় আদালত। ‘সিবিআই আধিকারিকদের কড়া পদক্ষেপ নয়’, নির্দেশ দেওয়া হয় কলকাতা হাই কোর্টের তরফ থেকে। তবে পাশাপাশি আদালত এও জানায়, ‘তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে সিআইডি। বয়ান রেকর্ড-সহ তদন্ত প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে’। আদালতের এই নির্দেশের পরই লালনের মৃত্যু-রহস্য উদ্ঘাটন করতে তৎপর হয় রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা।

প্রসঙ্গত, গত ২১ মার্চ বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে খুন হন প্রাক্তন তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ।এরপর রাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে। তাতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে প্রাণ হারান ৭ জন। এই আগুন লাগানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিলেন লালন শেখ। এরপরই সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু হয় তাঁর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 + 18 =