গেরুয়া শিবিরের এখন সব নজর আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে। কারণ সেখান থেকেই প্রমাণিত হবে সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণ যোগ্যতা। আর সেই কারণে শুধু হিন্দুদের মধ্যেই নয়, এবার সর্বস্তরের নাগরিকের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে উদ্যোগী বঙ্গ বিজেপি।আর সেই কারণে বিশেষ নজর দেওযা হচ্ছে সংখ্যালঘুদের ওপর। পাশাপাশি দেওযা হচ্ছে বিশেষ গুরুত্বও। কারণ, এমনই নাকি নির্দেশ এসেছে কেন্দ্রীয় স্তর থেকেই।
তবে বঙ্গরাজনীতির যা ট্রেন্ড তাতে স্পষ্ট যে এ রাজ্যে তৃণমূলের বড় ভরসা সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক। এবার এই সংখ্যালঘুদের মন পেতে মরিয়া বিজেপিও। আর সেই কারণেই বঙ্গ বিজেপিকে সংখ্যালঘুদের দুয়ারে গিয়ে জনসংযোগের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এই নির্দেশে এও বলা হয়েছে, ভোটার তালিকা দেখে সংখ্যালঘু ভোটার চিহ্নিত করতে হবে।পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রতিটা গ্রামে গিয়ে কথা বলতে হবে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে। যাতে সংখ্যালঘু শ্রেণির মানুষের মন থেকে বিজেপি-ভীতি দূর হয়। তাঁদের সবার কাছে পৌঁছে দিতে হবে মোদি সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুফলের কথা। সঙ্গে বার্তা দিতে হবে ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ, সব কা বিশ্বাস’-এর। আপাতত বিজেপি শিবির সূত্রে যা খবর, তাতে রাজ্যের সব সাংগঠনিক জেলার নেতারাই এই কর্মসূচির দায়িত্বে থাকবেন। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীজানান, ‘বিজেপি সংখ্যালঘু বিরোধী নয়। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাতের পরে আগামী নির্বাচনে বাংলার ভোটের ফলও প্রমাণ করবে, এ রাজ্যের সংখ্যালঘুরাও বিজেপিকে চাইছে।’
প্রসঙ্গত, ২০২১ বিধানসভা ভোটে তৃণমূল জিতেছিল ১৩১টি আসন।বিজেপি পেয়েছিল ১৪টি আসন।এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশ সংখ্যালঘু। এদিকে আবার এমন ১৪৬ বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে, যার ২৫ শতাংশ ভোটার সংখ্যালঘু।তৃণমূলের এই সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কেই এবার ফাটল ধরাতে মরিয়া বিজেপি। নভেম্বরে মুর্শিদাবাদে সংখ্যালঘুদের নিয়ে বিশেষ কর্মসূচিও করতে দেখা যায় বিজেপিকে। এবার রাজ্যজুড়ে সংখ্যালঘুদের দুয়ারে গিয়ে তাঁদের মন জিততে চান বঙ্গ বিজেপির নেতারা।