রানাঘাটে আজ তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন -কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন এখানেই সভা করার কথা তাঁর। এখানে মনে রাখতে হবে, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে এই আসনে পরাজিত হয় তৃণমূল। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনেও যে খুব একটা ভাল ফল করতে পেয়েছে তা কিন্তু নয়। ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে রাজ্যে ঘাসফুলের মেলা দেখা গেলেও রানাঘাট সংসদীয় ক্ষেত্রে ভরাডুবি হয় তৃণমূলের। আর এখানে বড় একটা ফ্যাক্টর মতুয়া ভোট। ফলে এদিনের এই সভা থেকে সিএএ-এন আরসি ইস্যুতে সুর চড়াতেই পারেন অভিষেক এমনটাই ধারনা বঙ্গ রাজনৈতিক মহলের। কারণ, মতুয়া অধ্যুষিত রানাঘাট সাংগঠনিক জেলায় বিজেপির সাংগঠনিক ভিত তুলনামুলকভাবে মজবুত। গত লোকসভা এবং বিধানসভার ভোট এই তত্ত্বেই কিন্তু সিলমোহর দিচ্ছে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত নদিয়ায় সভা করে গেরুয়া শিবিরে চিড় ধরানোয় মূল লক্ষ্য অভিষেকের। বিশেষ করে এই সাংগঠনিক জেলায় একদিকে রানাঘাট, অন্যদিকে বনগাঁ লোকসভা আসন জড়িত হয়ে রয়েছে। এদিকে বিজেপিও সিএএ-এনআরসি ইস্যুতে বারবার সুর চড়াচ্ছে, তখন মতুয়া ভোটের প্রভাব যুক্ত এই রানাঘাটে অভিষেকের সভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রসঙ্গত, গত মাসেই নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরে সভা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে গোটা নদিয়া জেলা নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিশেষ করে পঞ্চায়েত ভোটের আগে নদিয়ার মতো জেলা, যেখানে একাধিক ফ্যাক্টর জড়িত তা নিয়ে দলের কর্মীদের সচেতন করতেও দেখা যায় তৃণমূল সুপ্রিমোকে। ফলে মমতার পর অভিষেকের এদিনের এই সভার দিকে তাকিয়ে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরাও। কারণ, মাঝে এই রানাঘাটে গোষ্ঠী-কোন্দল কপালে ভাঁজ ফেলেছিল তৃণমূল শীর্ষ কর্তাদের। তবে এই গোষ্ঠী-কোন্দল সরিয়ে এদিন লাখো মানুষের জমায়েত করার চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের।
এদিকে তৃণমূল সূত্রে খবর, গত এক মাস ধরে রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার ৯টি বিধানসভা কেন্দ্রের ২১টি ব্লক ও ১০টি টাউন কমিটির প্রত্যেকটিতে জনতার জমায়েত সুনিশ্চিত করার ব্যাপারে বৈঠক করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে।