আবাস যোজনার ঘরের দুর্নীতি নিয়ে যখন উত্তাল রাজ্য রাজনীতি সেখানে দাঁড়িয়ে উল্টো ছবি দেখা যায় হাবড়ায়। সার্ভের পরেও আবাস যোজনার বাড়ি পাওয়ার লিস্টে নাম থেকে গেল তৃণমূল নেতার। বিষয়টি দেখে তৃণমূল নেতা নিজেই বিডিওর কাছে তাকে বাড়ি না দেওয়ার জন্য মুচলেকা জমা দিলেন। তবে বিজেপির দাবি, এই নেতাকে দেখে সমস্ত তৃণমূল সহ কালীঘাট পর্যন্ত শেখা উচিত। এই বেনজির ঘটনাটি হাবড়া থানার কুমড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রুদ্রপুর এলাকার। হাবড়া কুমড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রুদ্রপুর এলাকার বাসিন্দা তৃণমূলের আঞ্চলিক কমিটির সদস্য কবিরুল হক। ২০১৮-১৯ বর্ষে আবাস যোজনার ঘরের জন্য তখন তার নাম বাড়িতে এসে লিখে নিয়ে যায় বাড়ির জন্য সার্ভে করতে আসা কয়েকজন লোক। তখন তার বাড়ির প্রয়োজন ছিল কারণ তার কাঁচা বাড়ি ছিল। সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন তার বাড়ির অনুমোদন হয়েছে। কয়েকদিন আগে প্রশাসন ও আশা কর্মীদের তরফে বাড়িতে সার্ভে করতে আসে কয়েকজন। তখন তাদের তিনি জানান, সম্প্রতি তিনি নতুন বাড়ি নিজের ব্যবসার টাকায় করেছেন তাই তিনি আর বাড়ি চান না। সোমবার তিনি জানতে পারেন ভেরিফিকেশনের পরেও তার নাম বাড়ির তালিকা থেকে বাদ যায়নি। তাই এই তৃণমূল নেতা কবিরুল হক নিজেই হাবড়া এক নম্বর ব্লকের বিডিওর কাছে তিনি বাড়ি চান না এই মর্মে একটি লিখিত জমা দেন। কবিরুলের দাবি যার এরকম বাড়ি থাকা সত্ত্বেও নাম এসেছে তারা যেন বিডিওকে জানিয়ে দেন। প্রকৃত যাদের বাড়ি প্রয়োজন তারাই যেন বাড়ি পায়। তৃণমূল নেতা কবিরুল হকের এহেন ভূমিকায় খুশি তার পাড়া প্রতিবেশীরাও। স্থানীয় বাসিন্দা জব্বার মণ্ডল জানিয়েছেন বাড়ি থাকা সত্ত্বেও যারা বাড়ি পেয়েছেন কবিরুলের মতো উচিত তাদেরও এইভাবে এগিয়ে আসা। তবে এই ঘটনায় কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস মিত্রর দাবি, আমরা যেভাবে আন্দোলন করছি তার জন্যই এই শুভবুদ্ধি সম্পন্ন হয়েছে। তবে ধন্যবাদ জানাই এই তৃণমূল নেতাকে পাশাপাশি সকল তৃণমূল নেতা সহ কালীঘাট পর্যন্ত এই দেখে শেখা উচিত। পাশাপাশি এই বিষয় নিয়ে আমরা কথা বলেছিলাম কুমড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান চন্দন ঘোষের সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা মুচলেখা দেওয়ায় নিজের ভাবমূর্তির পাশাপাশি এলাকায় দলের ভাবমূর্তিও ভালো হবে। তবে সার্ভে করায় গলদ রয়েছে আরও সচেতন হওয়ার দরকার ছিল বলে মন্তব্য করলেন কুমড়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান।