শুক্রবার, এক ধাক্কায় অনেকটাই নামল তাপমাত্রার পারদ। আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, শুক্রবারই এই মরসুমের শীতলতম দিন। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামল ১৪.৫ নামল ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যেটা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে এক ডিগ্রি কম। অন্যদিকে বৃহস্পতিবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে সূর্যের দেখা মিললেও সেই রোদের দাপট নেই। বরং ছোঁয়া রয়েছে এক হিমেল হাওয়ার। পাশাপাশি উইকএন্ডে আরও তাপমাত্রা কমার ইঙ্গিত দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কলকাতার পাশাপাশি জেলায় জেলায় তাপমাত্রা নেমেছে। যেখানে কালিম্পঙের তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সেখানে শান্তিনিকেতনের তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী কয়েকদিনে আরও পারদ পতনের সম্ভাবনা। ফলে বড়দিনের আগে শহরে শীতের আমজে মিলবে পুরোদস্তুর।
এদিকে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুসারে শুক্রবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকলো জলপাইগুড়ি। এই ঘন কুয়াশার জের দৃশ্যমানতা ছিল বেশ কম। রাস্তায় কয়েক হাত দূরের কিছুই নজরে আসছিল না। যে কারণে হাইওয়েতে লাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হয়। পৌষের শুরুতে এই কুয়াশা পেয়ে খুশি প্রাত ভ্রমণকারীরা। এই বছরের প্রথম কুয়াশার দেখা পেয়ে রীতিমতো খুশি সবাই। তবে এই রকম কুয়াশা অনেকদিনই দেখা যায়নি।
এদিকে আবহাওয়া দফতর সূত্রে এও জানানো হয়েছে, আগামী পাঁচদিন দক্ষিণবঙ্গে শুষ্ক এবং পরিষ্কার আকাশ থাকবে। রাতের তাপমাত্রা আরও নামবে। চলতি সপ্তাহের রবিবারের মধ্যে আরও দেড় থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পারদ কমতে পারে জেলায় জেলায়। পশ্চিমাঞ্চলের জেলায় দশের ঘরে নেমে গিয়েছে তাপমাত্রা। এদিকে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য জেলাগুলি সহ পাঁচটি জেলায় তাপমাত্রার খুব একটা পরিবর্তন হবে না আগামী পাঁচ দিন। উত্তরবঙ্গের নীচের জেলাগুলোর তাপমাত্রার সামান্য কমবে।
সপ্তাহান্তে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা নামতে পারে উত্তর পশ্চিম ভারত এবং পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মহারাষ্ট্রেও ৪ ডিগ্রি পারা পতন হতে পারে। ঘন কুয়াশার সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে আগামী দু’দিনের জন্য। এছাড়াও হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, অসম, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরাতে আগামী কয়েকদিন হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় শৈত্যপ্রবাহ চলতে পারে উত্তরাখণ্ডে।