লালন মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে কোমর বেঁধে নেমেছে সিআইডি। সিবিআই অস্থায়ী ক্যাম্পের বাথরুমে যেখানে লালনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় সেটাই শুধু নয় এবার সিআইডির নজরে সিবিআইয়ের ইনভেস্টিগেশন রুমও। অর্থাৎ যেখানে লালনকে জেরা করেছিলেন সিবিআই কর্তারা সেই ঘর থেকেও নমুনা সংগ্রহের কাজ হবে।পাশাপাশি নজরে রয়েছে অন্যান্য ঘরও। প্রতিটি ঘর থেকে সংগ্রহ করা হবে নমুনা। নেওয়া হবে ফিঙ্গার প্রিন্ট। আর এই ফিঙ্গার প্রিন্টের নমুনা সংগ্রহ করবে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ বলে জানানো হয় সিআইডির তরফ থেকে।
এদিকে ফরেন্সিক সূত্রে খবর, লালনের ওজন ছিল ৬৫ কেজি। সম ওজনের বস্তা ঝুলিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। কারণ যে শাওয়ার পাইপে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় লালনকে সেই পাইপের এই ভার নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতেই এই পরীক্ষা। বৃহস্পতিবারও সেই অংশ আরও ভাল ভাবে পরীক্ষা করবেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে খতিয়ে দেখা হয় বাথরুমের যে অংশ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় লালনকে উদ্ধার করা হয়েছিল সেই জায়গা।বাথরুমে থাকা শাওয়ার পাইপ থেকে মাটির মধ্যে ব্যবধান সাড়ে ৬ ফুট।এদিকে লালনের উচ্চতা সাড়ে পাঁচ ফুট। এই মাপ নিয়েও বিস্তারিত ভাবে পরীক্ষা করা হবে বলে সূত্রের দাবি।কারণ, গলায় ফাঁস লাগানোর পর এই ভারের জের তা মাটি ছোঁয় কি না তা খতিয়ে দেখতেই এই পরীক্ষা করবেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা, এমনটাই সূত্রে খবর।