তিন বছর পর শুরু হতে চলেছে বাবরি মসজিদের নির্মাণ কাজ

নিজস্ব প্রতিবেদন, অযোধ্যা: প্রায় তিন বছর পর শুরু হতে চলেছে বাবরি মসজিদের নির্মাণ কাজ।  ২০১৯ রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলার রায়ে বিতর্কিত স্থানে মন্দির নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।  একইসঙ্গে মসজিদ নির্মাণে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। ফৈজাবাদের ধন্নিপুরে বরাদ্দ সেই জমিতেই ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তৈরি হতে চলেছ নতুন মসজিদ। এই প্রসঙ্গে ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি আতহার হুসেন জানান, অযোধ্যায় উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জমি ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়া গেছে। এখন শুধু দমকলের অনুমোদন বাকি রয়েছে বলে জানান তিনি। তার অনুমোদন মিললেই নতুন মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এদিকে অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরির কাজ আগেই শুরু হয়ে গেছে। প্রায় তিন বছর থমকে থাকার পর এবার শুরু হতে চলেছে মসজিদ তৈরির কাজও। এদিকে এই প্রসঙ্গে অযোধ্যা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তরফে বিশাল সিং জানান, ওই জমি অযোধ্যা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধীনে আছে। জমি ব্যবহারের চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার জন্য কাগজপত্র রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। চূড়ান্ত সরকারি অনুমোদন পাওয়ার পরেই মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলেই জানান তিনি। অযোধ্যা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ মসজিদ নির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসন-সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় দফতরের কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন বলেও জানান বিশাল সিং।

এদিকে এই মসজিদ নির্মাণ প্রসঙ্গে ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি আরও জানান,  কয়েকমাস আগে মসজিদের একটি নকশা দমকল বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছিল।তবে তখন তার অনুমোদন মেলেনি। কারণ হিসেবে আতহার হুসেন আরও জানান, মসজিদের প্রধান প্রবেশদ্বার দিয়ে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঢোকার জন্য যে পরিমাণ জায়গা থাকা দরকার, তা ছিল না।ফলে নকশাটি বাতিল হয়ে যায়।তবে বর্তমানে নতুন নকশা দমকল বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি। সঙ্গে এও জানান, দুই পর্যায়ে মসজিদের কাজ শেষ করা হবে। মসজিদের পাশাপাশি একটি ২০০ শয্যার হাসপাতালও মসজিদ চত্ত্বরে তৈরি করা হবে বলেও জানান তিনি।  আর এর জন্য প্রথম পর্যায়ে মসজিদ ও হাসপাতাল নির্মাণে খরচ হবে ১০০ কোটি টাকা। প্রথম পর্যায়ে হাসপাতালটি শুরু হবে ১০০ শয্যা দিয়ে। দ্বিতীয় পর্যায়ে বাড়ানো হবে বেডের সংখ্যা। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ১০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। যা  শুধুমাত্র খরচ হবে হাসপাতালকে আধুনিকভাবে তৈরি করতে।পাশাপশি এও জানান, অপুষ্টির কারণে ভুগছে এমন শিশু ও মায়েদের চিকিৎসা হবে এই হাসপাতালে। প্রথম পর্যায়ে একটি ইন্দো-ইসলামিক গবেষণা কেন্দ্র, ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের একটি আর্কাইভ সহ একটি লাইব্রেরি এবং একটি কমিউনিটি রান্নাঘর তৈরির পরিকল্পনাও তাদের রয়েছে বলে জানান আতহার। আর এই রান্নাঘরে প্রায় দু’হাজার জনের রান্না-খাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 4 =