বিজেপি সরকার ক্ষমতায় থাকালীন কেউ ভারতের এক ইঞ্চি জমি দখল করতে পারবে না: শাহ

চিনা সেনবাহিনীর বারংবার ভারত ভূখণ্ডে এসে ভারতীয় সেনাদের ওপর যে আক্রমণের ঘটনা ঘটাচ্ছে তার আঁচ পড়েছে ভারতীয় রাজনৈতিক মহলে। এদিকে সম্প্রতি এমনই আরও এক ঘটনার কথা সামনে আসে। আর তাতেই ফের উত্তপ্ত হয় ভারতীয় রাজনীতি। আর এই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার সংসদে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দাবি,’যতদিন পর্যন্ত বিজেপি সরকার ক্ষমতায় রয়েছে, কেউ ভারতের এক ইঞ্চি জমি দখল করতে পারবে না।’ এরই পাশাপাশি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বিবৃতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে কংগ্রেস সাংসদদের অধিবেশন ওয়াক আউটের তীব্র নিন্দা করেন শাহ। এরই রেশ ধরে সেনাবাহিনীকে কুর্নিশ জানিয়ে তিনি আরও বলেন,‘গত ৮ ও ৯ ডিসেম্বর রাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী যে বীরত্ব দেখিয়েছে, তাকে আমি কুর্নিশ জানাই।’ প্রসঙ্গত, ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়েই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছিলেন বিরোধীরা। বিরোধীদের সেই দাবি মেনে এদিন সংসদে বিবৃতি দেন রাজনাথ সিং। বিবৃতিতে তিনি জানান, গত সপ্তাহে অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তে চিনা বাহিনীর হামলায় কোনও ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়নি। শুধু তাই নয়, চিনের বারবার ভারতের উপর আক্রমণ প্রসঙ্গে কংগ্রেসকে একহাত নিয়ে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর দিকেও এদিন আঙুল তোলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন এই প্রসঙ্গেই রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে চিনকে নেহেরু সরকারের স্থায়ী সদস্যপদ দেওয়ার প্রসঙ্গও সামনে আনেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই প্রসঙ্গে এ প্রশ্নও তোলেন, ‘যখন গালওয়ানে আমাদের সেনার মৃত্যু হয়, তখন চিনা কূটনীতিকদের কে নৈশভোজ করিয়েছিলেন?’ এরই পাশাপশি এও জানান, ‘২০০৬ সালে যখন কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল, তখনই চিন অরুণাচলের উপর তাদের অধিকারের দাবি জানিয়েছিল।’

শুধু তাই নয়, এদিন কংগ্রেস সাংসদরা প্রশ্নোত্তর পর্বের সময় নষ্ট করছেন বলেও অভিযোগ তোলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে তিনি এও জানান, ‘আমি প্রশ্নোত্তর পর্বের তালিকাটা দেখছিলাম। ৫ নম্বর প্রশ্নটা দেখে কংগ্রেসের উদ্বেগের কারণটা বুঝতে পেরেছি। এই প্রশ্নটা হল, রাজীব গান্ধি ফাউন্ডেশনকে ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট লাইসেন্স বাতিল করা প্রসঙ্গে। এরই রেশ টেনে শাহ এও জানান, ‘ওরা যদি জানতে চাইত, তাহলে সংসদে আমি তার জবাব দিতাম। এরপরই শাহ পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, রাজীব গান্ধি ফাউন্ডেশন ২০০৫-২০০৭ নাগাদ চিনা দূতাবাস থেকে ১.৩৫ কোটি টাকার গ্রান্ট পেয়েছে। যা ‘ফরেন কারেনসি রেগুলেশনস অ্যাক্ট’ (এফসিআরএ) অনুযায়ী যথার্থ নয়। তাই নিয়ম অনুযায়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এটির রেজিস্ট্রেশন খারিজ করেছে।‘

 

 

 

 

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − 2 =