সাকেতের গ্রেপ্তারিতে তদন্তের দাবিতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি তৃণমূলের

নয়া দিল্লি: জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখেলের গ্রেপ্তারি নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে কড়া চিঠি দিল তৃণমূল কংগ্রেস। এই চিঠিতে এও জানানো হয়, ‘মিথ্যা মামলা’য় জড়ানো হয়েছে তাঁকে। আর এই প্রসঙ্গেই তদন্তের অনুরোধ জানান হয় কমিশনকে।আরপি আইন, ১৯৫১ অনুযায়ী সাকেত কোনও বিধি লঙ্ঘন করেননি বলে তৃণমূলের তরফ থেকে উল্লেখ করা হয় এই চিঠিতে। এমনকি রাজস্থান পুলিশকে অন্ধকারে রেখে কোনও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই সাকেতকে গুজরাত পুলিশ গ্রেপ্তার করে আহমেদাবাদ নিয়ে আসে বলেও জানানো হয়েছে এই চিঠিত।

সূত্রে খবর, সোমবার তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সাংসদ সৌগত রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়, মৌসুম নুর ও রাজ্যসভায় তৃণমূলের সংসদীয় দলের নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। কমিশনের কাছে গোখলের গ্রেপ্তারি নিয়ে তদন্তের অনুরোধ করে স্মারকলিপি জমা দেন তাঁরা। সাকেত গোখলের বিষয়টি ছাড়াও সাম্প্রতিক গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনী প্রচারে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ পরেশ রাওয়ালের ধর্মীয় ও জাতি বিদ্বেষী মন্তব্য নিয়েও কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তৃণমূল।

উল্লেখ্য, গুজরাতের মোরবি সেতু বিপর্যয় নিয়ে একটি টুইট করেছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র সাকেত। সেই টুইটকে কেন্দ্র করেই শুরু হয় বিতর্ক। টুইটে সাকেত জানান, মোরবি সেতু বিপর্যয়ের পর গুজরাটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রচারের জন্য খরচ করা হয়েছে ৩১ কোটি টাকা। এ ব্যাপারে একটি আরটিআই কপিও তুলে ধরেন তিনি। এই তথ্যকে ভুয়ো বলে দাবি করে ট্যুইটের বক্তব্যের ভিত্তিতেই তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেতকে গ্রেপ্তার করে গুজরাত পুলিশ।যা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় ভারতীয় রাজনীতিতে। এদিকে গুজরাত পুলিশের হাতে সাকেতের গ্রেপ্তারি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ায় তৃণমূল নেতৃত্ব।

প্রসঙ্গত, গত ৬ ডিসেম্বর রাত ২টা নাগাদ রাজস্থানের বিমানবন্দর থেকে প্রথম গ্রেপ্তার করা হয় সাকেত গোখলেকে। এরপর গত বৃহস্পতিবার জামিনে মুক্ত হন তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র। কিন্তু জামিন পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের সাকেতকে গ্রেফতার করা হয় বলে দাবি করে তৃণমূল।পরে শুক্রবার ফের জামিন পান সাকেত গোখলে।সাকেতের গ্রেপ্তারির পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস। ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানানো হয় তৃণমূলের তরফে। এই ঘটনায় ট্যুইট করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুথধু অভিযেক নন, এই ঘটনায় সরব হতে দেখা যায় তৃণণূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 2 =