ভক্তিপ্রাণা মাতাজির জীবনাবসান, মেঘালয় সফর থাকায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মঠে গিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস

জীবনাবসান হয়েছে সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের অধ্যক্ষা প্রবীণতম সন্ন্যাসিনী প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণার । রবিবার রাত ১১টা ২৪ মিনিট নাগাদ তিনি দেহত্যাগ করেন। দক্ষিণ কলকাতার রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান হাসপাতালে কয়েক দিন ধরে ভক্তিপ্রাণা মাতাজি চিকিৎসাধীন ছিলেন। বয়স হয়েছিল ১০২ বছর।

রবিবার রাতেই তাঁর পার্থিব দেহ দক্ষিণ কলকাতার হাসপাতাল থেকে টালিগঞ্জের মাতৃভবন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ, সোমবার তাঁর দেহ নিয়ে আসা হয় দক্ষিণেশ্বরে সারদা মঠের প্রধান কার্যালয়ে। এই খবর শোনার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোকপ্রকাশ করেন। এদিন পূর্ব নির্ধারিত মেঘালয় যাওয়ার কর্মসূচি থাকায় তিনি মাতাজিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসতে পারেনিন। তবে তাঁরই নির্দেশে সোমবার দক্ষিণেশ্বরের রামকৃষ্ণ সারদা মিশন -এ গিয়ে তাঁর হয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস । কাশীপুর শ্মশানে ভক্তিপ্রাণা মাতাজির শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে সারদা মঠ সূত্রে জানা গিয়েছে।

বয়সজনিত কারণে অসুস্থ ছিলেন তিনি। একাধিক শারীরিক অসুবিধা ছিল তাঁর। সারদা মিশন সূত্রে খবর, শনিবার থেকেই আচমকা শরীর খারাপ হতে শুরু করে। নির্দিষ্ট সময় পর তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। তবে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি তাঁকে।

ভক্তিপ্রাণা মাতাজি ছিলেন শ্রীসারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের চতুর্থ অধ্যক্ষা। ২০০৯-এর এপ্রিলে তিনি ওই পদ পান। তার আগে দীর্ঘ সময় তিনি টালিগঞ্জের মাতৃভবন হাসপাতালের সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর হাত ধরেই ওই হাসপাতাল ১০ শয্যার প্রসূতি সদন থেকে ১০০ শয্যার আধুনিক হাসপাতালে উন্নীত হয়।

১৯২০ সালের অক্টোবরে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন ভক্তিপ্রাণা মাতাজি। পূর্বাশ্রমে নাম ছিল কল্যাণী বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 4 =