সুজিত ভট্টাচার্য
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই রাজনৈতিক দলগুলি তাদের ঘর ঘোছানোর কাজ শুরু করেছে জোরকদমে। এরই মাঝে ধানখেতের মাঠ থেকে প্লাস্টিকের জার ভর্তি বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য গলসিতে। শনিবার রাতে গলসি থানার পুরসার বদরুলের মাঠ থেকে ৫টি প্লাস্টিকের জারে মোট ৩০টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। তার পরেই শুরু হয়েছে শাসক বিরোধী রাজনৈতিক দোষারোপের তরজা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় এলাকার বাসিন্দারা জারগুলি ফাঁকা মাঠে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। গলসি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গোটা এলাকা ঘিরে রাখে। স্থানীয়দের অনুমান ছিল ওই জারের ভিতরে বোমা মজুত থাকতে পারে। খবর দেওয়া হয় বোম স্কোয়াডকে। রবিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে সিআইডির বোম স্কোয়াডের একটি দল পৌঁছে তিনটি ধাপে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করে। বোমা উদ্ধারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই শাসক দলকে তোপ দেগেছেন বিজেপির বর্ধমান সদরের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র। তিনি বলেন, এটা এখন রোজকার ঘটনা। রাজ্যজুড়ে উদ্ধার হচ্ছে বোমা, বন্দুক, গুলি। বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তৃণমূল এখন সন্ত্রাস করেই ক্ষমতা দখল করতে চাইছে। তাই এই বিপুল পরিমাণে বোমা মজুত করা হয়েছে। আমরা নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
অন্যদিকে তৃণমূল নেতা প্রসেনজিৎ দাস পরোক্ষ দোষ চাপিয়েছেন বিজেপির দিকে। তিনি বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে আমরা যুক্ত নই। তাই আমরাও উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। বাংলাকে কালিমালিপ্ত করতে বিরোধীরাই এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। তারপর তৃণমূল কংগ্রেসের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন ধরেই ভাঙড়, টিটাগড়, পূর্ব মেদিনীপূর বা বীরভূমের মতো জেলাগুলিতে বোমা উদ্ধার ও অশান্তির খবর সামনে আসছিল। এবাই সেই তালিকায় নতুন সংযোজন পূর্ব বর্ধমানের গলসি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আরও কত এই ধরনের ঘটনা সামনে আসে সেই অপেক্ষায় রয়েছেন রাজ্যবাসী।