টেট পরীক্ষায় পর্ষদের তরফ থেকে এবার বায়োমেট্রিকের ব্যবস্থা করা হয়েছিল পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে। কারণ, কোনও ধরনের গাফিলতির জায়গা রাখতে চায়নি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদ। তবে এখানেই দেখা দিল এক বড় সমস্যা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পরীক্ষাকেন্দ্রে এই বায়োমেট্রিক নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। খোদ কলকাতা এমন ঘটনা নজরে আশে যোধপুর পার্কের তীর্থপতি ইনস্টিটিউশনে। আর সেই কারণেই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে ঢোকানোর ক্ষেত্রেও সকালে বেশ দেরি হয় বলেও অভিযোগ আসে নানা পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে। এরপর জানানো হয়, আড়াই ঘণ্টা ধরে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরেও এই বায়োমেট্রিক করা হবে। সেখানেও রয়েই গেল সমস্যা। এবার বায়োমেট্রিক ছাড়াই সেখানে পরীক্ষা নেওয়া হয়। আর এই নিয়েই পরীক্ষার্থীদের একাংশের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের চিত্র ধরা পড়ল। পরীক্ষার্থীদের বক্তব্য, টেট পরীক্ষা শুরুর আগে হাতে গোনা কয়েকজনের বায়োমেট্রিক করা হয়েছিল।বাকিদের বলা হয় মেশিন খারাপ।পরীক্ষার পরে বায়োমেট্রিক করানো হবে। সেই মতো পরীক্ষার পরে ওই পরীক্ষার্থীরা বায়োমেট্রিক করানোর কথা বললে, তাঁদের কাছে আধ ঘণ্টা সময় চাওয়া হয় বলেও জানা গিয়েছে। কিন্তু আধ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কোনও বায়োমেট্রিকের ব্যবস্থা না হওয়ায় পরীক্ষার্থীরা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে যান।স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে , তাঁদের জানানো হয় বায়োমেট্রিক হবে না। একটি কাগজে বায়োমেট্রিক না হওয়া পরীক্ষার্থীদের নাম লিখে দিয়ে যেতে বলা হয় বলে অভিযোগ তাঁদের। আর তাতেই আপত্তি ও ক্ষোভ ওই পরীক্ষার্থীদের। ফলে পরীক্ষা মিটে যাওয়ার পরেও পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরেই থাকেন পরীক্ষার্থীরা।আর এখানেই পরীক্ষার্থীদের আশঙ্কা, বায়োমেট্রিক না হলে, তাঁদের পরীক্ষা বাতিল হয়ে যেতে পারে। যদিও স্কুলের গেট বন্ধ থাকার কারণে এই বিষয়টি নিয়ে ওই স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।