দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়েছে টেট-২০২২। পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে একটি প্রশ্নপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরপাক খেতে শুরু করেছিল। পরীক্ষা শুরুর কিছু সময় আগেই সেই প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ায় জোর শোরগোল পড়ে বিষয়টি নিয়ে। যদিও বিষয়টি নিয়ে হুগলির জেলাশাসক পি দীপাপ্রিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ওই প্রশ্নপত্র ভুয়ো। পরবর্তী সময়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও জানান, ‘একটি ভুয়ো প্রশ্ন ঘুরছিল, কার প্ররোচনায় জানি না। এটি প্রমাণিত হয়েছে, সম্পূর্ণ ভুয়ো প্রশ্ন। নানান ভাবে পরীক্ষাকে বানচাল করার চেষ্টা হয়েছে। পরীক্ষাকে পিছিয়ে দেওয়ার, ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। সেগুলিকে অতিক্রম করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ খুব সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা নিতে পারছে, এটি খুব আশাব্যঞ্জক।’ প্রসঙ্গত, শনিবার রাতেই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আশঙ্কার সুরে বলেছিলেন, বহু জায়গা থেকে নাকি ফোন আসছে যে, দশ লাখ টাকার ‘কন্ট্র্যাক্টের’ কথা বলে। পাঁচ লাখ টাকা অগ্রিম দিলেই নাকি প্রশ্ন পেয়ে যাবে। বিরোধী দলনেতার মুখে এমন আশঙ্কার কথা শোনার পরের দিনই পরীক্ষা শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে এই ভুয়ো প্রশ্নপত্র ছড়ানোর ঘটনায় বেশ শোরগোল পড়ে স্বাভাবিকভাবেই।
পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য এও জানান, ‘বিরোধীরা বিরোধীদের কথা বলবেন। আমি শনিবারও যা বলেছি, এখনও তাই বলছি, যদি কেউ এমন কোনও ফোন পেয়ে থাকেন, তাহলে সেই নম্বরগুলি সরকারকে দিন। সরকার তদন্ত করবে। কিন্তু যদি রাজনৈতিক কারণে বলে থাকেন, তাহলে ধরে নিতে হবে তিনি সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা চাইছেন না।’ পরীক্ষা সামগ্রিকভাবে সুষ্ঠুভাবে চলছে বলেই জানান তিনি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সমস্ত পরীক্ষাকেন্দ্রে আমরা তদারকি চলছে। আমার মনে হয়, পরীক্ষা নির্বিঘ্নেই হওয়া উচিত। আমরা চাইছি, পরীক্ষা ভাল ভাবে হোক। এই ব্যবস্থাপনা করার জন্য আমরা পর্ষদকে আলাদাভাবে অভিনন্দন জানাই। একইসঙ্গে তিনি কৃতজ্ঞতা জানান মুখ্যমন্ত্রীকে মমতা বন্দ্ওযপাধ্যায়কেও। কারণ, তাঁর সার্বিক সহযোগিতা ছাড়া নির্বিঘ্নে পরীক্ষা হওয়া সম্ভব ছিল না বলেই মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী হব্রাত্য।