প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি সার্ভে করতে গিয়ে বেধড়ক মার পঞ্চায়েত কর্মীকে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে একজনকে আটক করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে, হুগলি জেলার গোঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের মদনমোহনপুর গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় গোঘাট থানার পুলিশ। আক্রান্ত ওই পঞ্চায়েত কর্মীর নাম শুভদীপ জালাল। অভিযুক্ত হারাধন সরকারকে আটক করে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আবাস যোজনায় লিস্টে নাম থাকা ব্যক্তিদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে সার্ভের কাজ করছিল পঞ্চায়েত কর্মী থেকে শুরু করে ব্লক অফিসের কর্মী ও পুলিশ। সার্ভে করার জন্য গোঘাট পঞ্চায়েতের কর্মী শুভদীপ মদনমোহনপুর গ্রামে যান এবং বেনিফিসারিতে নাম থাকা হারাধন সরকারের পাকা বাড়ির ছবি তোলার সঙ্গে সঙ্গেই বেধড়ক মার ওই পঞ্চায়েত কর্মীকে। পঞ্চায়েত কর্মী কেন তার পাকার বাড়ির ছবি তুলবেন সেই প্রশ্ন তুলে ধাক্কাধাক্কি থেকে শুরু করে মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান গোঘাট থানার পুলিশ এবং সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে। এই বিষয়ে আক্রান্ত পঞ্চায়েত কর্মী শুভদীপ জালাল বলেন,আমরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সার্ভে করছি। গোঘাট পঞ্চায়েতের মদনমোহনপুর গ্রামে বেনিফিসারি হারাধন সরকারের পাকা ও কাঁচা বাড়ি আছে। দুটি বাড়ির ছবি তোলার সঙ্গে সঙ্গেই ওনার স্ত্রী অশ্লীল ভাষায় কথা বলে এবং উত্তেজনার সৃষ্টি করে। পাশাপাশি হারাধন সরকার হাত ধরে টানাটানি করে মারধর দেয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আমরা রীতিমতো নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। যদিও এই বিষয়ে, আরামবাগ বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুশান্ত বেরা বলেন, আমরা চাই যারা প্রকৃত গরিব ও প্রাপ্য তারা যেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা পান। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, যাদের পাকার বাড়ি আছে তাদেরও নাম উঠেছে লিস্টে। এবার সার্ভে করতে গিয়ে ধরা পড়ে যেতেই গোঘাটের মতো সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। আমরাও বিজেপির পক্ষ থেকে একটা লিস্ট তৈরি করে রাজ্য ও কেন্দ্রকে দেওয়া হবে বিবেচনা করার জন্য। সবমিলিয়ে গোঘাটের মদনমোহনপুর গ্রামের ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন যারা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর নিয়ে সার্ভে করছেন।