পরিত্যক্ত জঙ্গল থেকে দুই ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ালো মানিকচক থানার গোপালপুর জেসারটোলা এলাকায়। দীর্ঘ চেষ্টার পর উদ্ধার হওয়া দুই ব্যাগ ভর্তি বোমা ফাঁকা জায়গায় নিষ্ক্রিয় করে বোম স্কোয়াডের অফিসাররা। বুধবার সকালে ঝোপের মধ্যে ব্যাগ দুটি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় মানিকচক থানায়, এলাকা ঘিরে রাখে পুলিশ। খবর দেওয়া হয় বোম ডিসপোজাল স্কোয়াডে। সম্প্রতি, গোপালপুরের বালুপুর এলাকায় বোমা ফেটে জখম হয়েছিলেন দুই শিশু। ফের বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্কিত সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে স্থানীয় গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জেসরাত টোলা গ্রামের একটি মাঠ দিয়ে যাচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময় মাঠের পাশে ঝোপের মধ্যে দুইটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে। আতঙ্কিত হয়ে গ্রামের বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল ঘিরে নেয়। খবর দেওয়া হয় বোম স্কোয়াড ডিসপোজাল টিমকে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অফিসারেরা এসে উদ্ধার হওয়া বোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বোমা মজুত করার ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর মাসে মানিকচকের ধরমপুর এলাকায় বাবুপুর গ্রামে, বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা ফেটে জখম হয় দুই শিশু। ঘটনার কিনারা না হতে ফের বোমা উদ্ধার। স্বাভাবিকভাবে মানিকচক থানা জুড়ে একটা আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। যদিও গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে মানিকচক থানার পুলিশ। জেলা বিজেপির দক্ষিণ মালদার সাধারণ সম্পাদক গৌড়চন্দ্র মণ্ডল বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যে শাসক দল সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য জেলাজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় বোমা অস্ত্রশস্ত্র মজুত করছে। সাধারণ মানুষ সব বুঝতে পেরেছি। পঞ্চায়েত ভোটে শাসক দলকে যোগ্য জবাব দেবে। জেলা তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার বলেন, বিরোধীদের কোনও কাজ নেই, তাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে এরকম ভিত্তি নেই এমন অভিযোগ করছে। ওদের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। তাই তারা এখন ভুল বকছে। জেলার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন, ঘটনা তদন্ত শুরু হয়েছে।