West Bengal : স্কুল থেকে প্রেম, বাড়ি থেকে বিয়ে দিয়েছিল অনত্র্য, পুরনো প্রেমিকের সঙ্গে একই শাড়িতে ফাঁস লাগানো অবস্থায় মিললো যুগলের মৃতদেহ

মদন মাইতি,ভগবানপুর : স্কুলে পড়াকালীনই প্রেম। কিন্তু বাড়ি থেকে জানতে পেরে যাওয়ায় বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় অন্যত্র। বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যে এক পুত্রসন্তানেরও জন্ম দেন বছর চব্বিশের গৃহবধূ। কিন্তু তাতেও ভোলেননি পুরনো প্রেমকে। বাপেরবাড়িতে এসে সেই প্রেমিকের সঙ্গেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু এটাও জানতেন সেই সম্পর্ক পূর্ণতা পাবে না কোনওদিনই। তাই প্রেমিকের সঙ্গেই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন গৃহবধূ। একই শাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী যুগল। মর্মান্তিক ঘটনা পূর্ব মেদিনীপুর ভগবানপুর থানার সুবোধপুর এলাকায়।

জানা গিয়েছে, ভগবানপুর থানার পশ্চিম ঘোষপুর গ্রামের বাসিন্দা শ্রীকান্ত সামন্তর (২৫) সঙ্গে বাবিয়া গ্রামের বাসিন্দা সোনামণি প্রধানের (২৪) স্কুলের সময় থেকেই প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। মেয়েটির বাড়ির লোক জানতে পারলে ওই সম্পর্কে আপত্তি জানায় এবং সম্বন্ধ করে অন্য পাত্রের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেয়। বিয়ের কয়েকবছর পর একটি পুত্র সন্তান হয় সোনামণির। স্বামী-সন্তান নিয়ে সংসার করলেও পুরনো প্রেমকে ভুলতে পারেনি সে।

অন্যদিকে শ্রীকান্তর অবস্থাও এক। তাই বাপির বাড়িতে এসে আবার পুরনো প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা করতো। গ্রামের রাস্তায় তাঁদের এক সঙ্গে দেখাও যেত। গ্রামবাসীরা অন্তত তেমনটাই বলছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগে সোনামণি ছেলেকে নিয়ে ফের বাপের বাড়িতে বেড়াতে আসে। এরপর শনিবার রাতে বাপের বাড়ি থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায়। তিন বছরে পুত্রসন্তানকে বাপের বাড়িতে রেখেই বের হন সোনামনি। আর ফেরেননি। পরিবারের লোকেরা দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজি করলেও কোনও হদিশ মেলে না।

রবিবার সকাল থেকে ফের খোঁজা শুরু হলে ওই এলাকার শ্মশান সংলগ্ন একটি বাবলা গাছে দুজনকে একই শাড়িতে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দারাই ভগবানপুর থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ইতিমধ্যেই পরিবারের লোকেদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। কি কারণে এই ঘটনা ঘটল তদন্ত করে দেখবে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen + 17 =