কলকাতা: খুব সামান্য হলেও কলকাতার তাপমাত্রার গ্রাফ উর্ধ্বমুখী। তবে সকাল আর সন্ধেয় মিলবে শীতের আমেজ। আর এই আমেজ থাকবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত, এমনাটই জানাচ্ছে কলকাতা আলিপুর আবাহওয়া অফিস। পাশাপাশি আবহাওয়া দপ্তর থেকে এও জানানো হয়েছ, বৃহস্পতিবারের মধ্যে তাপমাত্রা সামান্য নামতে পারে কোথাও কোথাও। তবে শুক্রবার থেকে ফের কিছুটা উর্ধ্বমুখী হবে পারদ। সঙ্গে কমবে কমবে শীতের আমেজও আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই কলকাতায়। মঙ্গলবার কলকাতায় পরিষ্কার আকাশ। আবাহওয়াও শুষ্ক। সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেখানে সোমবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৩৮ থেকে ৯১ শতাংশ।
এদিকে আবহাওয়া দপ্তর থেকে এও জানানো হয়েছে, আন্দামান সাগরের ঘূর্ণাবর্ত বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টায় এই নিম্নচাপ দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এরপর উত্তর পশ্চিম ও পশ্চিম দিকে এগিয়ে এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে। এর অভিমুখ তামিলনাডু পুদুচেরি উপকূল। আবহাওয়াবিদরা এও ধারনা করছেন, তামিলনাড়ু ও পুদুচেরি উপকূলে এটি শুক্রবার সকালে পৌঁছে গেলেও স্থলভাগ আছড়ে নাও পড়তে পারে। বরং উপকূলের কাছাকাছি এটি শক্তি হারাতে পারে। এর প্রভাব পড়বে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে। স্থলভাগের কাছাকাছি এর গতিবেগ প্রতি ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার হতে পারে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের।
এদিকে বুধবার রাত থেকেই তামিলনাডু পুদুচেরি করাইকাল এবং অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে এর প্রভাব পড়তে শুরু করবে। ভারী বৃষ্টি এমন কি ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করবে। বুধবার ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওযার সম্ভাবনার কথাও জানানো হয়েছে আবহাওয়া অফিস থেকে। এরপর বৃহস্পতিবার এই দমকা ঝোড়ো হওয়ার পরিমাণ আরো বাড়বে। সকালের দিকে এটি স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। সেই মুহূর্তে এই ঘূর্ণিঝড় এর গতিবেগ ৭০ থেকে ৯০ সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। শনি- রবিবার পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব থাকবে। শনিবারে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব থাকবে। দমকা ঝড়ো হাওয়া ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বইবে অন্ধ্রপ্রদেশ এর দক্ষিণভাগ এবং তামিলনাড়ুর পুদুচেরি ও করাই কাল জেলার উপকূলে।