ব্রিটিশ সিংহ নাকি আফ্রিকান সিংহ? কে বেশি শক্তিশালী? আজ জবাব পাওয়া যাবে কাতার বিশ্বকাপের মাঠে। ইংল্যান্ড বনাম সেনেগাল নিয়ে চর্চা ফুটবল মহলে। ফুটবল কৌলিন্য এবং দলের ওজন বিচার করলে সেনেগালের থেকে অনেক এগিয়ে ইংল্যান্ড। কিন্তু সেটা কাগজে এবং পরিসংখ্যানে। মাঠে কি হবে তার উত্তর পাওয়া যাবে কয়েক ঘন্টা পর।
বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগেই সেনেগালের জন্য বিপর্যয় নেমে আসে, বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে খেলার সময় ইনজুরির কারণে ফরোয়ার্ড সাদিও মানে টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়েন। কিন্তু আফ্রিকা কাপ অফ নেশনস চ্যাম্পিয়নরা তাদের তিনটি খেলার মধ্যে দুটিতে জয় এবং একটিতে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। ভয়ডরহীন ফুটবলই তাদের সম্পদ। ২০১৯ এও ফাইনালে পৌঁছেছিল তারা। ইসমাইল সার, সিসে, কৌলাবালি, দিয়ারা কিন্তু শারীরিকভাবে এবং গতিতে পিছিয়ে নেই ইংল্যান্ডের থেকে। টেকনিক্যাল দক্ষতায় অবশ্য এগিয়ে ইংলিশ ফুটবলাররা। হ্যারি কেন, রহিম স্টার্লিং, ফিল ফোডেন, রাশফোর্ডরা অনেক বড় লিগে সারা বছর খেলেন, তাই নকআউট খেলার অভিজ্ঞতায় এগিয়ে তারা।
তবে সেনেগাল কিন্তু অতীতে অনেক বড় দলকে হারিয়ে চমক দিয়েছে। তারা যে ফ্লুকে আফ্রিকান চ্যাম্পিয়ন নয় সেটা প্রমাণ করার তাগিদ থাকবে আজ। তবে ইংল্যান্ড দলের রিজার্ভ বেঞ্চ টুর্নামেন্টের অন্যতম শক্তিশালী। সম্ভবত এত সমমানের ফুটবলার নেই অন্য কোনও দলে। তাছাড়া ইউরো কাপ ফাইনালে ইতালির কাছে হারতে হয়েছিল ইংল্যান্ডকে। চার বছর আগের রাশিয়া বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে ছিটকে গিয়েছিল দল।
তাই অঙ্কের বিচারে সবচেয়ে টাকায় শক্তিশালী দলের কোচ সাউথ গেট এবার মরিয়া হয়ে থাকবেন অন্তত ফাইনাল খেলতে। কিন্তু ইংল্যান্ডের সামনে পশ্চিম আফ্রিকার সিংহ সেনেগাল কিন্তু বিনা লড়াইয়ে জায়গা ছাড়বে না। সেনেগাল ম্যাচের আগে ইংল্যান্ড টাইব্রেকার অনুশীলন সেরে রাখল আলাদা করে। ম্যাচ অতিরিক্ত সময় গড়িয়ে গেলে যেন টাইব্রেকার সামলাতে অসুবিধে না হয়, সেজন্য প্রস্তুত রাখা হচ্ছে গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডকে। চার বছর আগে কলম্বিয়াকে টাইব্রেকারে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড।