কলকাতা: মেয়র ফিরহাদ হাকিমের হুঁশিয়ারির পরও টনক নড়েনি হুক্কা বার মালিকদের। কলকাতার নানা জায়গায় এখনও রমরমিয়ে চলছে এই ব্যবসা। আর এই বেআইনি হুক্কা বারের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান জারি রেখেছে কলকাতা পুলিশ। পুরসভার তরফে হুক্কা বিক্রি এবং সেবন নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় পুলিশি রেড।শুক্রবারের পর শনিবার রাতেও শহরের একাধিক জায়গায় হানা দেয় পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় এক হুক্কা বারের ম্যানেজারকে।একইসঙ্গে সতর্ক করা হয় হুক্কা সেবনকারীদেরও। এদিকে কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার মধ্যরাতে দক্ষিণ কলকাতার কসবা রাজডাঙা এলাকার ‘হুকক্যাফে’ নামে একটি হুক্কা বারে অভিযান চালান কলকাতা পুলিশ আধিকারিকেরা। কারণ, প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সেখানে রমরমিয়ে চলছিল হুক্কা বিক্রি।কলকাতা পুলিশের আধিকারিকেরা এই অভিযান চালাতে গিয়ে দেখতে পান, ক্যাফের একাধিক টেবিলে হুক্কা সেবন করছেন অনেকেই। এদের মধ্যে অধিকাংশই অল্পবয়সী বলেও জানানো হয়েছে কসবা থানার তরফ থেকে। এরপই গ্রেফতার করা হয় ওই হুক্কা পার্লারের ম্যানেজার বিশ্বজিৎ সাহাকে। একইসঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা হয় হুক্কার চারটি সেট এবং উন্নতমানের তামাকও। এরপরই কসবা থানায় একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলাও রুজু করা হয়।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতেও শহরের একাধিক অভিজাত এলাকার হুক্কা পার্লারগুলিতে পুলিশি অভিযান চালে। লালবাজারের এই রেড টিমে ছিলেন অ্যান্টি রাউডি স্কোয়াডের কর্মী এবং গোয়েন্দা দফতরের কর্মীরা। মধ্যরাত পর্যন্ত বেআইনিভাবে খোলা রাখা একাধিক রেস্তোরাঁয় হানা দেন তাঁরা।নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পরও হুক্কা বিক্রির ঘটনায় চলে পুলিশের এই অভিযান। শুক্রবারের রাতে গ্রেপ্তারও হন একাধিক।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার কলকাতা পুরসভার ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে শহরের হুক্কা বারগুলি বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেন মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। একইসঙ্গে তিনি এ আশঙ্কাও প্রকাশ করেন যে, কোনও কোনও জায়গায় এর সঙ্গে নেশার জিনিস মেশানো হচ্ছে।যার ফলে তরুণ প্রজন্ম এক নেশায় ডুবছে। এদিকে এই ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে সাধারণ মানুষের। সেজন্য হুক্কা বারকে আর পুরসভা লাইসেন্স দেবে না।’ ফিরহাদ হাকিমের আরও বক্তব্য, ‘যাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে তাদেরও বাতিল করে দেওয়া হবে।’ এরপরই হুক্কা বার বন্ধ করতে পুলিশের সাহায্য চান তিনি। পাশাপাশি তাঁর বার্তা, ‘রেস্তোরাঁতে খাওয়া দাওয়া হোক কিন্তু হুক্কা বিক্রি করা চলবে না।’