মহেশতলা: বেআইনি মদের ঠেকের পিছন থেকে মিলল এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ। শনিবার সকালে মহেশতলা বাটানগর মল্লিক বাজারের পাশেই একটি বেআইনি মদের ঠেকে দেখা যায় এমনই এক ঘটনা। এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, গত বেশ কয়েকমাস যাবৎ মহেশতলা বাটানগর মল্লিকবাজারের এলাকাতে গড়ে উঠেছিল বেআইনি মদের ঠেক।এই ঘটনায় তীব্র আপত্তিও জানানো হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফ থেকে। তবে তাঁদের সে আপত্তি পুলিশ কর্তাদের কাছে কোনও গুরুত্ব পায়নি। ফলে যা হবার তাই হতো। রোজ সন্ধ্যা হতেই বিভিন্ন এলাকার মানুষ ভিড় জমাতেন ওই মদের ঠেকে। এমনই চলে আসছিল। আর তা গা-সওয়াও হয়ে গিয়েছিল এলাকার বাসিন্দাদের কাছে।
এরপরই শনিবার সকালে এই মদের ঠেকেই নজরে আসে চাপ চাপ রক্তের দাগ। সারি সারি বোতলের মধ্যে পড়ে চাপ চাপ রক্ত। এরপরই আর একটু নজর করতেই সামনে আসে এক যুবকের দেহ। যুবকের মাথার পিছনে গভীর ক্ষত। এরপরই খবর দেওযা হয় মহেশতলা থানায়। এরপর পুলিশ ওই রক্তাক্ত যুবকের দেহ উদ্ধার করে বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মহেশতলা থানা সূত্রে খবর, ওই যুবকের মাথায় ইটের আঘাত রয়েছে। মাথার পিছনে তৈরি হয়েছে বড় ক্ষতও। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ইট দিয়ে মেরে খুন করা হয়েছে এই যুবককে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ইট ও মদের বোতল ও বেশ কিছু নমুনাও সংগ্রহ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট থানা সূত্রে খবর। আপাতত ঘটনার তদন্তে নেমেছে মহেশতলা থানার পুলিশ। তদন্তে নেমেই পুলিশ ওই যুবকের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথাও বলেন তদন্তকারীরা। মনে করা হচ্ছে, ওই যুবক এলাকার বাসিন্দা নন। এদিকে ওই ঠেকে আশপাশের বহু এলাকা থেকে বাসিন্দারা আসেন।তদন্তে নেমে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পুরনো কোনও শত্রুতার জেরেই এই খুন। মদের আসরে কোনও কারণে কথা কাটাকাটি শুরু হয়, তা থেকেই বোতল কিংবা ইট দিয়ে মাথার পিছনে মেরে খুন করা হয়।