কাঁথি: শনিবার বাংলায় দুই হাই ভোল্টেজ সভা। একটা শান্তিকুঞ্জের থেকে ১০০ হাতের মধ্যেই। অন্যটা, অভিষেকের নির্বাচনী কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে। ফলে উত্তেজনায় ফুটছে কাঁথি আর ডায়মণ্ড হারবার। আর এই দুই সভা নিয়ে মুখিয়ে রয়েছে বঙ্গ রাজনীতিবিদরা। পাশাপাশি রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরাও অপেক্ষায়, কী বার্তা দেন দুই দলের সেনাপতি।সব মিলিয়ে দুই যুযুধান পক্ষের সভার গরমাগরমিতে উত্তাল রাজ্য।
সূত্রে খবর, শনিবার বেলা ১টায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মিছিল করে কাঁথি শহরে পৌঁছবেন। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরে এই নিয়ে তৃতীয়বার আসছেন। এদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সভাকে কেন্দ্র করে হাই কোর্ট পর্যন্ত যেতে হয় শুভেন্দু অধিকারীকে। কারণ, শুভেন্দু এই সভার পিছনে তৃণমূলের অন্য অভিসন্ধি দেখছেন। সভা করার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি হাই কোর্ট। তবে অনুমতি দেয় শর্তসাপেক্ষে। কোর্টের নির্দেশে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বাড়ির সামনে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুভেন্দুর বাড়ি শান্তিকুঞ্জের অদূরে ১০০ মিটারের মধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ঘিরে যাতে এলাকায় কোনও অশান্তি না হয় তা নিয়ে সচেতন প্রশাসন। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা চত্বর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বেষ্টনী রাখা হয়েছে সভাস্থল জুড়ে। রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি থাকছে স্পেশাল নিরাপত্তা রক্ষী। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে শুক্রবার সকালে শান্তিকুঞ্জের চারিদিকে নিরাপত্তার খতিয়ে দেখতে জেলা পুলিশের পদস্থ আধিকারিকেরাও আসেন। এদিকে মেদিনীপুর পুলিশ সূত্রে খবর, কাঁথি শহরে প্রবেশের মুখে খড়গপুর বাইপাস, দিঘা বাইপাস ও মেছেদা বাইপাসে তৃণমূল কর্মীদের গাড়ির পার্কিং করার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। সভার সামনের দিক থেকে থাকছে কর্মীদের প্রবেশ পথ। পেছন দিক দিয়ে প্রবেশ করবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি। নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করার জন্য সভাস্থলে মুড়ে ফেলা হয়েছে সিসি ক্যামেরায়।
এদিকে ডায়মণ্ড হারবারে সভার জন্যও আদালতের শরনাপন্ন হতে হয়েছিল শুভেন্দুকে। এরপর শুক্রবার মেলে সবুজ সংকেত। ফলে কাঁথির পাশাপাশি পাশাপাশি ডায়মণ্ড হারবারেও পুলিশি তৎপরতা নজর কাড়া। কারণ, এখানে সভা করবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিরোধী দলনেতার দুয়ারে এসে অভিষেক কী বার্তা দেন সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। এদিকে শুভেন্দুও কতটা বর্ষান তার দিকেও তাকিয়ে বঙ্গ বিজেপির কর্মীরা।