চার তলা আবাসনের ছাদে যুবকের দেহ, মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন!

কলকাতা:মোমিনপুরের ময়ূরভঞ্জ রোড এলাকায় চারতলা আবাসনের ছাদ থেকে উদ্ধার হল যুবকের দেহ। কীভাবে ছাদে তার দেহ এল তা নিয়েই রহস্য দানা বেঁধেছে। কারণ, আবাসনের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ছাদের চাবি তাঁর কাছে। মঙ্গলবার থেকে কেউ ছাদে যাননি। আর এখানেই উঠেছে প্রশ্ন।

মৃতের নাম মহম্মদ সাজ্জাদ হোসেন। বাইশ বছরের যুবক ওই এলাকারই বাসিন্দা ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে খবর,  মঙ্গলবার থেকেই নিখোঁজ ছিলেন সাজ্জাদ। পরিবারের লোকেদের পাশাপাশি পড়শিরাও বিভিন্ন জায়গায় তাঁর খোঁজ করতে থাকেন। শেষে ময়ূরভঞ্জ রোড এলাকার একটি চারতলা আবাসনের ছাদে বাইশ বছরের যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। সাজ্জাদের পরিবারের অভিযোগ তাঁদের বাড়ির ছেলেকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু চারতলার আবাসনের ছাদে বাইশ বছরের যুবক কীভাবে পৌঁছল? সেই প্রশ্নের উত্তর অজানা। আবাসনের প্রেসিডেন্ট জানান, ছাদের চাবি তাঁর কাছেই ছিল। কেউ সেখানে যাওয়ার জন্য নেননি। মঙ্গলবার থেকে ছাদ খোলাই হয়নি বলে দাবি তাঁর।

তাহলে কীভাবে ছাদে মৃতদেহ পড়ে থাকা অবস্থায় পাওয়া গেল? স্থানীয়দের কয়েকজন জানান, ঘুড়ি ওড়াতে খুবই ভালবাসতেন সাজ্জাদ। কোথাও ঘুড়ি ওড়ানোর সুযোগ থাকলে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে চলে যেতেন। চারতলার যে আবাসনে সাজ্জাদের দেহ পাওয়া গিয়েছে তার পাশেই ছ’তলার একটি নির্মীয়মান বিল্ডিং রয়েছে। দুই বিল্ডিংয়ের মাঝের দূরত্ব ২ ফুটেরও কম। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ঘুড়ি ওড়ানোর জন্যই ওই নির্মীয়মান বিল্ডিংয়ের ছ’তলায় উঠেছিলেন সাজ্জাদ। সুতোয় টান দিতে গিয়েই হয়তো ছ’তলা থেকে চারতলার ছাদে পড়ে যান। আর এর জেরেই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তবে এই তথ্য সাজ্জাদের পরিবার মানতে নারাজ। তাঁরা খুনের অভিযোগেই অনড়। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে খবর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten − 3 =