আমেরিকা থেকে ইংল্যান্ডের দূরত্ব বিমান পথে প্রায় ৪২৫৫ মাইল, কিলোমিটারের বিচারে ছয় হাজারের কিছু বেশি। জো বাইডেন ও ঋষি সুনকের দেশের ফুটবলাররা শুক্রবার রাতে গোল থেকেও ঠিক এতটাই দূরত্ব বজায় রাখলেন। এদিন আল বায়াত স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ড বনাম আমেরিকা ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়ে গেল।
এদিন বিশ্বের পাঁচ নম্বর ফুটবল খেলিয়ে দেশ ইংল্যান্ডকে ৯৪ (অতিরিক্ত সময় ধরে) মিনিট রুখে দিল ফিফা ক্রমতালিকায় ১৬ নম্বরে থাকা আমেরিকা।। টাইলার অ্যাডামসরা এই ম্যাচের পর গর্বের সঙ্গে বলতে পারবেন যে, তারা লড়াই করে হ্যারি কেনদের রুখে দিয়ে বিশ্বকাপে গোলশূন্য ড্র করেছে।
ওয়েলসের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে এগিয়ে থেকেও ১-১ ড্র করেছিল আমেরিকা। অন্যদিকে ইংল্যান্ড ৬-২ গোলে ইরানকে উড়িয়ে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছিল। দেখতে গেলে গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা গ্রেগ বারহল্টারের ছেলেদের থেকে আত্মবিশ্বাসে অনেকটাই এগিয়ে ছিল। ইরানের বিরুদ্ধে ছেলেখেলা করা ইংল্যান্ডের বিষদাঁত ভোঁতা করে দিয়ে আমেরিকা তাক লাগিয়ে দিল। পরের রাউন্ডে যাওয়ার অবধারিত টিকিট কাটার ম্যাচেই ইংল্যান্ড চুপসে গেল। এদিন বিরতির ঠিক আগে সাকা-মাউন্ট ব্যাক-টু-ব্যাক সুযোগ নষ্ট না করলে ইংল্যান্ড এগিয়ে যেতে পারত। দ্বিতীয়ার্ধে গ্রিলিশ-ব়্যাশফোর্ডকে নামিয়ে ইংল্যান্ডের আক্রমণের চেহারা বদলান সাউথগেট। যোগ করা সময়ে আমেরিকার বক্সের সামনে ফ্রি-কিক পেয়েছিল ইংল্যান্ড। লুক শ দারুণ জায়গায় বল রেখেছিলেন ঠিকই। তবে ওই বল হেড করে তিন কাঠিতে রাখতে পারলেন না কেন। রাখতে পারলেই চলে আসত গোল। বিশ্বকাপের আসরে ইংল্যান্ডের কাছে অপরাজিতই থাকল আমেরিকা।
‘বি’ গ্রুপের ম্যাচটি গোলশূন্য শেষ হওয়ায় দুরন্ত জমে গেল পরের পর্বে ওঠার লড়াই। এই মুহূর্তে নকআউট পর্যাযের দরজা খোলা আছে গ্রুপের চার দলের সামনেই। পয়েন্ট টেবল বলছে দু’ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে কেন বাহিনী। ঝুলিতে ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রইল ইরান। ২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আমেরিকা। ১ পয়েন্ট নিয়ে সবার শেষে গ্যারেথ বেলের ওয়েলস।