কলকাতা: ডিলিট সম্মানে ফের সম্মানিত করা হতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর এবার তা দেওয়া হবে সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্বাবিদ্যলয়ের তরফ থেকে। অর্থাৎ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুকুটে আরও একটি পালক। আগামী বছর ৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর হাতে এই সম্মান তুলে দেবে সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদিকে সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীকে ডিলিট দিতে চেয়ে সম্প্রতি চিঠি পাঠানো হয়েছিল সেন্ট জেভিয়ার্স কর্তৃপক্ষের তরফে। সেন্ট জেভিয়ার্সের তরফ থেকে এই চিঠি পাওয়ার পর এই সম্মান নিতে রাজি হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ৭৭০ জন স্নাতক ও স্নাতোকত্তরের পড়ুয়াদের সম্মান জানানো হবে। সেই অনুষ্ঠানেই ডিলিট উপাধি দেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই অনুষ্ঠানে তিনি হাজির থাকবেন বলেই এখনও প্রয্ত ঠিক আছে। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্যই তাঁকে এই বিশেষ সম্মান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেভিয়ার্স কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, তাদের তরফে এই সম্মানের জন্য শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর নামেরই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। যাতে সম্মতি জানান মমতা।
এর আগে ২০১৮ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডিলিট দিয়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। তৎকালীন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর হাত থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডিলিট নিয়েছিলেন তিনি। সে সময় অবশ্য তাঁকে এই সম্মান দেওয়া নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। কেন তাঁকে ডিলিট দেওয়া হবে তা নিয়েও বিস্তর জলঘোলা হয়। এমনকী হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায় সেই বিতর্ক। তবে সেসব অতীত। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও তাঁকে বিশেষ সম্মানে সম্মানিত করতে চলেছে। প্রসঙ্গত, ডিলিট সম্মানের ছাড়াও অতীতে ভুবনেশ্বরের ‘কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি’ মমতাকে সাম্মানিক ডক্টরেট দিয়েছিল। এবার ডিলিট দিতে চলেছে সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে একটা কথা বলতেই হয়, এই বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।