টেটে স্পর্শকাতর বুথে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করতে চেয়ে চিঠি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের

কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। একাধিক মামলা চলছে কলকাতা হাই কোর্টে। ইতিমধ্যে গ্রেপ্তারও হয়েছে হেভিওয়েটরা। এই পরিস্থিতিতে আসন্ন টেট স্বচ্ছভাবে করতে বদ্ধ পরিকর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রাথমিকের নিয়োগে টেট- নিয়ে ১৬ দফা গাইডলাইনে দেওয়া হয়েছে। তার পাশাপাশি এবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকে প্রাথমিকের নিয়োগের জন্য টেটের পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ইন্টারনেট বন্ধ রাখার আবেদন জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তবে সব পরীক্ষা কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধ করতে চায় না পর্ষদ। রাজ্যজুড়ে স্পর্শকাতর পরীক্ষা কেন্দ্রের তালিকা তৈরি করছে পর্ষদ। সেই স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতেই পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ইন্টারনেট বন্ধ রাখতে চায় পর্ষদ।
রাজ্যের মোট ১ হাজার ৪৫৩ টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা হবে। তার মধ্যে থেকেই ৫০ শতাংশরও বেশি স্পর্শকাতর পরীক্ষা কেন্দ্রের তালিকা তৈরি হতে চলেছে বলেই পর্ষদ সূত্রে খবর। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অন্যতম বড় পরীক্ষা। আর তাকে কেন্দ্র করেই এবার জেলায় জেলায় গাইডলাইন পাঠাল রাজ্য ßুñল শিক্ষা দফতর। আগামী ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিকের টেট। পরীক্ষা দেবেন প্রায় ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী। আর সেই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করেই ১৬ দফা গাইডলাইন প্রতিটি জেলার জেলাশাসককে এবং কলকাতা পুলিশের পুলিশ কমিশনারকে পাঠাল রাজ্য ßুñল শিক্ষা দফতর। প্রত্যেকটি পরীক্ষাকেন্দ্রে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। গাইডলাইনে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে।
এবছর টেট দেবেন প্রায় ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী। দুপুর ১২টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত মোট আড়াই ঘণ্টার হবে এই পরীক্ষা। প্রত্যেকটি পরীক্ষাকেন্দ্রে এক্সটেনশন অফিসার পর্যায়ের আধিকারিকরা থাকবেন পুলিশের। পরীক্ষা চলাকালীন আশপাশের ফটো কপির দোকানগুলো বন্ধ থাকবে। মোবাইল ফোন বা কোনওরকমে ইলেকট্রনিক গেজেট পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরে নিয়ে যেতে পারবেন না। পর্যাপ্ত পানীয় জল ও শৌচাগারের জন্য প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে। প্রশ্নপত্র পৌঁছনোর আগেই প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়ন করতে হবে। পরীক্ষার দিনে পর্যাপ্ত পরিবহণ ব্যবস্থা রাখতে হবে যাতে পরীক্ষার্থীদের কোনওরকম সমস্যা না হয়।

স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদেরও মোতায়েন করতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে যাতে কোনও পরীক্ষার্থীর যদি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুল্যান্স-সহ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five + 11 =