ফুটবল বিশ্বকাপ খেলতে কাতারের মাটিতে পা রেখেছেন আর্জেন্টিনা তারকা লিওনেল মেসি। সেখানে তাঁকে সাড়ম্বরে স্বাগত জানিয়েছেন তাঁর ভক্তরা। সেই ভক্তদের মধ্যে অধিকাংশই হলেন কাতারে বসবাসকারী ভারতীয়রা। তাঁরা ড্রাম বাজিয়ে, স্লোগান দিয়ে, ড্রামের তালে নাচতে নাচতে স্বাগত জানিয়েছেন এই ফুটবল তারকাকে। আর্জেন্টিনা দল যখন দোহার মাটিতে পা দেয়, তখন সেখানে হাজির ছিলেন প্রায় ৫০০ সমর্থক। তাঁরাই স্বাগত জানান মেসিদের।
আর্জেন্টিনা থেকে মেসিরা এসেছিলেন আবু ধাবিতে। সেখানেই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে নীল-সাদা ব্রিগেড। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি পাঁচ গোলে হেরেছে সেই ম্যাচে। বিশ্বকাপের গ্রুপ-সিতে রয়েছে আর্জেন্টিনা। মঙ্গলবার তাদের প্রথম ম্যাচ সৌদি আরবের বিরুদ্ধে। গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনাকে খেলতে হবে পোল্যান্ড ও মেক্সিকোর বিরুদ্ধে। কিন্তু তার আগে থেকেই মেসিকে ঘিরে উন্মাদনা শুরু হয়েছে কাতারে।
কাতারে বসবাসকারী ভারতীয়দের একাংশ যেমন আর্জেন্টিনার হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন তেমনই আর্জেন্টিনা থেকে উড়ে এসেছে অনেকে। ভারেলো নামের ২৪ বছরের এক আর্জেন্টিনার যুবতী জানিয়েছেন, তিনি তাঁর বাবা-মায়ের থেকে ৮ হাজার ডলার ধার নিয়ে কাতারে এসেছেন বিশ্বকাপ দেখতে। তিনি বলেছেন, “আমার সব বান্ধবীরা এসেছে এখানে। আমি না বলতে পারিনি।” ভালেরোর মতো ৬৮ বছরের এক বৃদ্ধ আর্জেন্টনার কাটামার্কা থেকে এসেছেন কাতারে। তিনিও ভারতীয়দের সঙ্গে মেসি অভ্যর্থনায় মেতেছেন। দিয়েগো করদোভেজ নামের অপর আর্জেন্টিনীয় আবার কেবল মেসি নন, গোটা আর্জেন্টিনা দলের উপর গুরুত্ব দিতে আগ্রহী। তিনি বলেছেন, “আমী লিওকে দেখতে চাই। এ কথা লজ্জার। বরং মেসির দরকার বাকিদের। সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”
বিশ্বকাপ অভিযানের আগে সতর্ক মেসি। জীবনের শেষ বিশ্বকাপ সম্ভবত কাতারেই খেলবেন মেসি। সর্বাধিক বার ব্যালন ডিঅর জিতেছেন মেসি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, কোপা আমেরিকা জেতার স্বাদও পেয়েছেন তিনি। কিন্তু আর্জেন্টিনাকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করার সৌভাগ্য হয়নি তাঁর। ২০১৪ সালে ফাইনালে পৌঁছেও জার্মানির কাছে হার মানতে হয়েছিল। কাতারে নিজের জীবনে অপূণ ট্রফি ছুঁতে প্রাণপন চেষ্টা চালাবেন মেসি।