কাঠুয়া গণধর্ষণ ও খুনের মামলায় খারিজ হয়ে গেল হাইকোর্ট এবং নিম্ন আদালতের রায়। এই মামলায় এক অভিযুক্তের বিচার হবে প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবেই। জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে হাইকোর্ট এবং নিম্ন আদালত রায় দিয়েছিল, অভিযুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক নয়, তাই তার বিচার হবে আলাদাভাবে।
২০১৮-এর ১০ জানুয়ারি, আট বছরের এক নাবালিকাকে গ্রামের মন্দিরে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে কয়েক জনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায় দেশে। ২০১৮-এর ৭ মে সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি জম্মুর কাঠুয়া থেকে পঞ্জাবের পাঠানকোটে পাঠিয়ে দৈনিক শুনানির নির্দেশ দেয়। কারণ, কাঠুয়ার নিম্ন আদালতে কয়েক জন আইনজীবী অপরাধ দমন শাখার আধিকারিকদের চার্জশিট জমা দিতে বাধা দেন। ২০১৯-এর ১০ জুন, বিশেষ আদালত তিন জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। অন্য তিন অভিযুক্তকে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয়। নিম্ন আদালত সপ্তম অভিযুক্ত বিশাল জানগোত্রকে খালাস করে দেয়।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অজয় রাস্তোগি এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চ রায় দিতে গিয়ে বলে, ‘আমরা সিজেএম (মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট) কাঠুয়া এবং হাইকোর্টের রায়কে খারিজ করছি। ঘটনার সময় অভিযুক্ত অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন না।’