বুধবার জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে প্রতীকীভাবে ভারতের জি-২০ সভাপতিত্ব গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সমাপ্তি ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সভাপতিত্ব সকল ভারতীয়র জন্য গর্বের বিষয়।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, ‘ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ও শহরে আমরা জি-২০’র সভা আয়োজন করব। একসঙ্গে আমরা জি-২০’কে বিশ্বের পরিবর্তনের অনুঘটক করে তুলব। পরবর্তী এক বছরে যৌথ উদ্যোগে চেষ্টা করব যাতে জি-২০ই বিশ্বের মুখ্য চালক হয়।’ একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘উন্নয়নের জন্য তথ্য’ই হবে ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি জানান, ডিজিটাল পরিবর্তন আমাদের যুগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। গত এক দশক ধরে বিশ্বব্যাপী দারিদ্রের বিরুদ্ধে যে লড়াই চতছে, ডিজিটাল প্রযুক্তির উপযুক্ত ব্যবহার সেই লড়াইকে আরও জোরদার করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, ভারতের জি-২০ সভাপতিত্ব হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, উচ্চাকাঙ্খী, সিদ্ধান্তমূলক এবং কর্মমুখী। ডিজিটাল প্রযুক্তিকে বিশ্বের প্রত্যেক নাগরিকের কাছে পৌঁছে দেওয়াটাই হবে ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বের লক্ষ্য। আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে এক বছরের জন্য জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব করবে ভারত।
ভারতের ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যাবহারিক পরিসর বাড়ানোর প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘ওপেন সোর্স’, ‘ওপেন এপিআই’ এবং ‘ওপেন স্ট্যান্ডার্ড’-এর উপর ভিত্তি করে ডিজিটাল সমাধান করা হয়। এই সমাধানগুলি সর্বজনীন। এর ফলে বর্তমানে ভারতে ডিজিটাল বিপ্লব এসেছে বলে জানান তিনি। ভারতের ইউপিআই বা ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেসের সাফল্যের কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী । তিনি জনান, গত বছর বিশ্বের ৪০ শতাংশের বেশি রিয়েল-টাইম পেমেন্ট হয়েছে ইউপিআই-এর মাধ্যমে।
ডিজিটাল পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তিকে মুষ্টিমেয় মানুষের করায়ত্ব করে রাখা উচিত নয়। এই প্রযুক্তি যখন অধিকাংশ মানুষের মধ্যে পৌঁছে যাবে, তখনই ডিজিটাল পরিবর্তনের সর্বাধিক সুবিধা উপলব্ধি করা যাবে। এই প্রসঙ্গে, জি-২০’র সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধিদের সামনে ভারতকেই উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, গত কয়েক বছরে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারের পরিসর বাড়ানোয়, ভারতে আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। আগামী ১০ বছরে বিশ্বের প্রতিটি মানুষের কাছে এই প্রযুক্তির সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার করার আহ্বান জানান তিনি।