শিয়রে কড়া নাড়ছে কাতার বিশ্বকাপ। তার আগে নিজের ক্লাব নিয়ে বিস্ফোরক পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। সম্প্রতি ব্রিটিশ ব্রডকাস্টার পিয়ের্স মর্গ্যানকে নব্বই মিনিটের এক সাক্ষাৎকারে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সিআর সেভেন। রেড ডেভিলস তাঁকে চায় না। তিনিও কি চান ম্যান ইউয়ে থাকতে? বার বার ঘুরে ফিরে শোনা গিয়েছে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ছাড়তে চান রোনাল্ডো।
গত বছরের অগস্টে জুভেন্তাস ছেড়ে নিজের পুরনো ক্লাবে ম্যান ইউতে ফেরেন রোনাল্ডো। রেড ডেভিলসে নিয়মিত তিনি একাদশে থাকার সুযোগ পান না। এ ছাড়াও ক্লাবের সঙ্গে তাঁর বনিবনা হচ্ছে না। এ কথা কিন্তু নতুন নয়। এ বার ক্লাব, কোচ সম্পর্কে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরলেন সিআর সেভেন।
ম্যান ইউ রোনাল্ডোর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে। ক্লাবে তিনি কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি প্রতিনিয়ত এমনটাই অনুভব করেছেন। এই নিয়ে তিনি বলেন, “শুধু কোচ নয়। ক্লাবে আরও দুই-তিন জন রয়েছে। আমার মনে হয় ক্লাব আমাকে চায় না। আমি অনুভব করি, আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। এমনটা শুধু এ বছর নয়, গত বছরও মনে হয়েছিল। তবে আমার এতে কিছু যায় আসে না। সমর্থকদের সত্যিটা জানা প্রয়োজন। আমি ক্লাবের জন্য সেরাটা দিতে চাই। যে কারণে আমি ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে এসেছি।”
রোনাল্ডো জানিয়েছেন, ম্যান ইউ কোচ এরিক টেন হ্যাগ তাঁকে সম্মান দেন না। যে কারণে কোচের প্রতিও তাঁর কোনও সম্মান নেই। এরিক ম্যান ইউয়ের দায়িত্বে আসার পর থেকেই রোনাল্ডোর সঙ্গে তাঁর খুঁটিনাটি বিষয়ে মত মিলত না। ম্যান ইউয়ের একাধিক ম্যাচে পর্তুগিজ তারকাকে রিজার্ভ বেঞ্চে কাটাতে হয়েছে। কোচের ব্যপারে সিআর সেভেন বলেন, “আমি জানি না ও আমার এত সমালোচনা করে কেন। সম্ভবত ও কেরিয়ার শেষ করে ফেলেছে। আর আমি এখনও ঊচ্চ পর্যায়ে খেলে চলেছি। ওর প্রতি আমার কোনও সম্মানও নেই। কারণ ও আমায় সম্মান করে না। আপনি যদি আমায় সম্মান না করেন, আমি আপনাকে কখনওই সম্মান করব না।”
রোনাল্ডো জানান তাঁর মনে হয়, স্যার অ্যালেক্স চলে যাওয়ার পর ক্লাবের সেই অর্থে উন্নতি হয়নি। তিনি বলেন, “স্যার অ্যালেক্স ছেড়ে যাওয়ার পর, ক্লাবের কোনও উন্নতিই হয়নি। ক্লাবে কোনও পরিবর্তন আমি অন্তত দেখতে পাইনি। ক্লাব যে ঠিক পথে চলছে না তা কিন্তু কারও অজানা নয়।। তিনি জানেন, প্রত্যেকেই এটা জানেন। যাঁরা এটা দেখতে পান না, তাঁরা আসলে এটা দেখতে চান না। কারণ তাঁরা অন্ধ।”