মহকুমা শাসকের গাড়ির ধাক্কায় মৃত যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি

মালদার সদর মহকুমা শাসকের গাড়ির ধাক্কায় যুবকের মৃত্যুর ঘটনার পর বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছে মৃতের পরিবার। এই ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ হতে চলল এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছে মৃত যুবকের স্ত্রী এবং ছয় বছরের এক কন্যা সন্তান। মালদা শহরের একটি নার্সিংহোমে দু’জনের চিকিৎসা চলছে। কিন্তু কোনওভাবেই এই ঘটনা ভুলতে পারছেন না মৃত যুবকের বৃদ্ধ বাবা মা। এসডি’র চরম শাস্তির দাবি তারা চাইছেন। পুত্রবধূ এবং একমাত্র নাতনিকে যাতে সুস্থভাবে তারা ফিরে পান সেই কামনাও করছেন। শনিবার সকালে পুরাতন মালদা থানার বালা সাহাপুর এলাকার মৃত যুবক পাপ্পু দাসের (৩৫) বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় শোকে মুহ্যমান রয়েছেন বৃদ্ধ বাবা ও মা বিমল দাস এবং শোভা দেবী। মৃতের যুবকের বাবা ও মায়ের বক্তব্য, গত সপ্তাহের রবিবার রাতে ছেলে তার বউ ও মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফিরছিলেন মোটরবাইকে করে। সেই সময় মালদা শহরের বৃন্দাবনী মাঠ সংলগ্ন বাঁধ রোড এলাকায় এসডিও’র গাড়ি ধাক্কা মারে। এরপর জখম অবস্থায় তিনজনকেই মালদা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হলে, পরের দিন সোমবার সকালে ছেলে পাপ্পু দাসের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর বাড়িতে একজন মন্ত্রী এবং জেলা প্রশাসনের কর্তারা এসেছিলেন। সরকারিভাবে ২ লক্ষ টাকার একটি চেক দিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু এতে কি হবে। পুত্রবধূ ও নাতনির ভবিষ্যৎ কি হবে। ওরা কি করে বেঁচে থাকবে। কোনও কিছুর ওপর আমরা ভরসা করতে পারছি না। মৃতের মা শোভা দাস বলেন, বউমা আমাকে বলেছিল গাড়িতে এসডিও মদ্যপ অবস্থায় ছিল। তিনি নাকি গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তার সামান্য ভুলের জন্য একটা প্রাণ চলে গেল। আমার ছয় বছরের নাতনি অদ্রিজা দাসের চোয়ালের অনেক কটা দাঁত ভেঙে গিয়েছে। মালদা শহরের একটি নার্সিংহোমে তার অস্ত্রপচার হয়েছে। পুত্রবধূ নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রথমত পুলিশ অভিযোগে নিতে চাইছিল না। পরে অবশ্য অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কিন্তু বাড়িতে একবারের জন্যও এসডিও আসেননি। মৃতের অভিভাবকেরা জানিয়েছেন, আমরা পুরো ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছি। দোষ যিনি করেছেন, তাকে আইনগতভাবেই শাস্তি পেতে হবে, এই দাবিও আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 + 6 =